1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে ভারতে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

১০ মার্চ ২০১১

জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও আল কায়দা চলতি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করছে৷ ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়ে সতর্কতা জারি করেছে৷

https://p.dw.com/p/10WoN
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা হচ্ছেছবি: picture-alliance/empics

বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থা ভারতকে জানিয়েছে, বিশ্বকাপ খেলার সময় সন্ত্রাসী হামলা চালাতে ইতোমধ্যে জঙ্গি দলের ছয় থেকে পনেরো সদস্য দেশটিতে প্রবেশ করেছে৷ সম্ভবত তারা নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং শীঘ্রই সন্ত্রাসী দলের বাকী সদস্যরা ভারতে প্রবেশ করতে পারে৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার জন্য আল কায়দার সদস্যরা নৌকায় করে ভারতে প্রবেশ করতে পারে৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে জঙ্গিরা সেদেশে আসতে পারে এবং তারা উর্দু ভাষায় কথা বলতে পারে৷ এছাড়া স্বল্প সময়ে ভারতে পৌঁছনোর জন্য তারা বেছে নিতে পারে সমুদ্র পথকে৷

Chinnaswamy Stadion in Bangalore Indien
ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামছবি: AP

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই হামলার অংশ হিসেবে সন্ত্রাসীরা চলমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটে হামলার পরিকল্পনা করছে৷ এজন্য উপকূলীয় এলাকা এবং বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার৷ ভারতীয় নৌবাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং উপকূলীয় পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷ সতর্কতা জারি করা হয়েছে উপকূলীয় গ্রামগুলোতে৷

এবারের বিশ্বকাপের আসরের যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা৷ আগামী ২ এপ্রিল ভারতের মুম্বই এ শেষ হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ জামনগর, ম্যাঙ্গালোর, কোচি, পশ্চিম উপকূলবর্তী সমুদ্র বন্দর – বিশেষ করে মান্দ্রা এবং মুম্বই এ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, তাঁরা যদি সমুদ্রে কোন সন্দেহজনক জেলে নৌকা দেখতে পান তা কর্তৃপক্ষকে জানাতে৷

অন্যদিকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাটি পাকিস্তানকেও এই হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে এবং বলেছে, পাকিস্তান যদি সন্দেহভাজন কারও খোঁজ পায় তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বই এ জঙ্গি হামলায় দেড়শ'রও বেশি মানুষ নিহত হয়৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন