বিশ্বকাপে ‘ওয়াকিং’ নিয়ে আবারও আলোচনা
২১ মার্চ ২০১১বিগত ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শ্রীলংকা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ৷ ব্যাটিং করছিলেন অসি ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট৷ এমন সময় একটি ক্যাচের জোরালো আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার৷ কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিজে থেকেই মাঠ ছেড়ে চলে যান গিলক্রিস্ট৷ রোববারও যেমনটি হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের একটি শট ইনসাইড এজ হয়ে কিপারের হাতে পড়া মাত্রই আর দেরি করেননি তিনি, হাঁটা দেন সোজা ড্রেসিং রুমের দিকে৷
ক্রিকেটে এমন স্পোর্টসম্যানশিপ কমই দেখা যায়৷ আবার উল্টোটাও হয়৷ যেমন গিলক্রিস্টের একসময়ের সতীর্থ বর্তমান অসি অধিনায়ক পন্টিং গত শনিবার আউট হয়ে যাওয়ার পরও ক্রিজ ছাড়েননি৷ কিন্তু প্রতিপক্ষ পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের আবেদনে ডিআরএস পদ্ধতিতে তাঁকে আউট ঘোষণা করা হয়৷ এই ব্যাপারে পন্টিং এর বক্তব্য, ‘‘আমি জানতাম বলটি ব্যাটে লেগেছে, কিন্তু আমি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম৷ আমি এভাবেই সবসময় খেলে এসেছি৷''
আসলে বিষয়টি নির্ভর করে প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বের ওপর, যেমনটি বললেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম ব্যাটসম্যান রস টেইলর৷ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্যালিসের উদাহরণ টেনে টেইলর বলেন, ‘‘ক্যালিস সবসময় ফিল্ডারের কাছে জানতে চান ক্যাচটি হয়েছে কিনা৷ যদি ফিল্ডার বলেন যে এটি ক্যাচ তাহলে ক্যালিস আর ক্রিজে থাকেন না৷'' তবে ‘ওয়াকিং' বরাবরই ক্রিকেটে স্পোর্টসম্যানশিপের একটি বড় উদাহরণ৷ তবে পেশাদার ক্রিকেটে ইদানিং এই উদাহরণ তেমন একটা দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানী কোচ ওয়াকার ইউনুস৷
এদিকে যুবরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিসহ অলরাউন্ড পারফরমেন্সে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারালো ভারত৷ আর এর ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ভারত৷ অন্যদিকে ভারতের কাছে হারলেও ইতিমধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে ক্যারিবীয়দের৷ তারা খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে৷ অপর দুই খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা আর শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী