বিশ্বকাপে এবারও তৃতীয় স্থানে জার্মানি
১১ জুলাই ২০১০উরুগুয়ে শুনে ভাববেন না, বেশ হেসেখেলে বোধহয় জয় পেয়েছে জার্মানি৷ যারা খেলা দেখেছেন, তারা তো জানেনই, কতটা গলদঘর্ম হয়েছে ল্যোভের দল৷
টানটান উত্তেজনা
প্রথমে গোল করেও পিছিয়ে যায় জার্মানি, তারপর আবার গোলের পর গোল, টানটান উত্তেজনা৷ শেষে মধ্যমাঠের সামি খেদিরা উরুগুয়ের কফিনে পেরেক ঠুকে দেয়৷ ফলাফল ৩-২৷ উচ্ছ্বসিত খেদিরা খেলা শেষে জানালেন, ‘আমরা সকলেই আরো অনেক প্রত্যাশা করেছিলাম৷ কিন্তু শেষ কথা হচ্ছে এটাও একটা বিশ্বকাপের খেলা, একটা ছোটখাট ফাইনাল৷ যা আমরা সকলেই জিততে চাই৷’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আজ সকলেই দেখেছে যে, আমরা জয়ের জন্য সব কিছু করেছি৷ নিজেদের উজাড় করে খেলেছি৷’
সূচনায় ম্যুলার
পোর্ট এলিজাবেথের নেলসন ম্যান্ডেলা বে-তে গোলের সূচনা করেন জার্মান তারকা থমাস ম্যুলার৷ সোয়াইনস্টাইগারের এক দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরা৷ সেই বলেই আবার পাল্টা শটে গোল দেন ম্যুলার৷
এরপর অবশ্য খেলার ২৮ মিনিটের মাথায় সমতা আনেন উরুগুয়ের এডিসন কাবানি৷ ৫১ মিনিটে লাতিন আমেরিকার এই দলকে এগিয়ে নেন দিয়েগো ফোরলান৷ তবে সেটা বেশিক্ষণ টেকেনি৷ ৫৬ মিনিটে জার্মানির মধ্যমাঠের সেনা মারসেল ইয়ানসেন গোল দিয়ে বসেন৷ এরপর টানটান উত্তেজনা, আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ৷ শেষমেষ ৮২ মিনিটে সামি খেদিরা'র জয়সূচক গোল৷
সন্তুষ্ট ল্যোভ
বিশ্বকাপ জয় না হলেও একেবারে নাখোশ নন জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷ বরং তরুণ জার্মান টিমের প্রশংসাই করেছেন তিনি৷ খেলা শেষে ল্যোভ এর মন্তব্য, ‘জার্মান দল কেমন খেলেছে তা গোটা টুর্নামেন্টটা দেখলেই বোঝা যায়৷ স্পেনের বিরুদ্ধে গুরুতর হতাশার পরও এই টিম আত্মবিশ্বাস বজায় রেখেছে৷’
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে আগ্রাসী খেলেছি এবং ক'টি খেলায় কতগুলো গোল করেছি তা বিবেচনা করলে বলতেই হয় -- এটা খুবই সন্তোষজনক সমাপ্তি৷’
উল্লেখ্য, রেকর্ডের হাতছানি থাকা সত্ত্বেও ইনজুরির কারণে এই ম্যাচ খেলতে পারেননি মিরোস্লাভ ক্লোজে৷ রোনাল্ডোর ১৫ গোলের রেকর্ড ভাঙা আপাতত আর হলো না তাঁর৷ তবে, শনিবারের ম্যাচ সেরা খেতাবটি পেয়েছেন ম্যুলার৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী