বিশ্বকাপের সময় ছিল জুয়াড়িদের রমরমা
১৮ জুলাই ২০১০বিশ্বকাপ চলাকালীন এশিয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে জুয়াড়িদের বে-আইনী কার্যকলাপের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে৷ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও চীনের পুলিশ ইন্টারপোলের সমন্বয়ে ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই দুষ্টচক্রের হদিস পেয়েছে৷ এই অভিযানে প্রায় ৮০০ বে-আইনী জুয়াখানায় তল্লাশী চালিয়ে ৫,০০০-এরও বেশি দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন সাড়ে পনেরো কোটি ডলারেরও বেশি অঙ্কের অর্থ নিয়ে জুয়া খেলা হয়েছে এই সব জুয়াখানায়৷
জুয়াড়িদের এই তৎপরতা মোটেই বিচ্ছিন্ন কোনো উদ্যোগ ছিল না বলে মনে করছেন ইন্টারপোল কর্মকর্তা জঁ মিশেল লুবুত্যাঁ৷ সংগঠিত অপরাধ চক্র, দুর্নীতি, বে-আইনী আর্থিক লেনদেন এবং পতিতাবৃত্তির সঙ্গেও এই জুয়া চক্রের যোগসূত্র পাওয়া গেছে৷ জুয়াখানার দালালরা এমনকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আদায় করেছে৷ ম্যাচের আগে তাদের মাধ্যমে অত্যন্ত সহজে জুয়া খেলার ব্যবস্থা চালু ছিল৷ এমনকি ধারেও জুয়া খেলার বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল৷ তবে সময়মতো টাকা দিতে না পারলে চরম শাস্তির ভয়েও কাঁপতে হয়েছে৷ ক্রাইম গ্যাং সেই শাস্তির দায়িত্ব নিয়েছে৷ হংকং ও ম্যাকাও-এর মত এলাকায় তাদের প্রতিপত্তি যথেষ্ট বেশি৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক