বিশ্বকাপের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে পশুশিকার
১৭ জুন ২০১০একটু লম্বা জীবন পেয়ে গেল অনেক জেব্রা৷ আরও প্রায় এক বছর নিশ্চিন্তে বাঁচবে অন্যান্য আফ্রিকান জন্তু জানোয়ার, যেমন হরিণ কিংবা নিলগাই কিংবা শম্বররা৷ কারণ, বিশ্বকাপের বাজারে শিকারীদের কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসন৷ কড়া ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে, চলতি বছরে শিকার টুর্নামেন্ট বিলকুল বনধ৷
আর্থার রুডমান৷ বিশ্বকাপের অতিথিদের জন্য সেজে ওঠা পোর্ট এলিজাবেথ শহর থেকে মাত্র একঘন্টার মোটরপথ দূরে ব্লাকুরানটজ সাফারির মালিক এবং নামজাদা শিকারি তথা দক্ষিণ আফ্রিকার পেশাদার শিকারি সংস্থার বোর্ড সদস্যদের একজন এই রুডমান জানাচ্ছেন, বছরে প্রায় ৭৪৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করে এই শিকারের টুর্নামেন্ট৷ কারণ, বিভিন্ন দেশ থেকে পেশাদার শিকারিরা বহু অর্থব্যয় করে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন৷ কিন্তু এ বছর সেই শিকারিদের সবাইকেই ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা৷ যার আরেকটা অর্থ হল, দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি এ বছর সামান্য হলেও ধাক্বা খাবে৷
তা খাক৷ তাতে আপত্তি নেই রুডমানের৷ তিনি নিজেই বলছেন, ফুটবলকে আমরা ভালোবাসি৷ তাছাড়া, বিশ্বকাপ তো আর সবসময়ে হয় না৷ শিকারের মূল সিজনটা চলে যাবে এবার৷ পরে আমরা পুষিয়ে নেব ঠিকই৷
খবরটা জঙ্গলের জানোয়ারদের কাছে পৌঁছেছে কিনা জানা নেই৷ তবে, তাদের কাছে খবরটা গেলে তারাও নিশ্চয়ই খুশিই হত৷ আর কিছু না হোক, শুধুমাত্র ফুটবলের কল্যাণে তাদের অনেকেই পেয়ে গেল একটু বেশিদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সুযোগ৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন