1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে গণভোট

২৩ জুন ২০১৬

ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গেছে৷ পাঁচ বছরের জন্য সরকার বাছাই নয়৷ এ এমন এক সিদ্ধান্ত, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে ব্রিটেনের জন্য৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেন থাকবে, না বিদায় নেবে?

https://p.dw.com/p/1JBhN
ব্রেক্সিট
ছবি: Reuters/N. Hall

‘রিমেন' ও ‘ব্রেক্সিট' – অর্থাৎ যথাক্রমে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ও বিপক্ষের শিবিরের প্রচার অভিযান শেষ৷ এবার ভোটারদের পালা৷ প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ ভোটার বৃহস্পতিবার গণভোটে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছেন৷ প্রায় ৪১,০০০ কেন্দ্রে ভোট দেবার সুযোগ থাকছে৷ শুক্রবার ভোর থেকে চূড়ান্ত ফলাফল স্পষ্ট হয়ে ওঠার কথা৷

যুক্তি, তর্ক-বিতর্ক, আবেগ – সব মিলিয়ে ভোটারদের মনস্থির করতে হয়েছে, ব্যালট পেপারে তারা কোনো বিকল্প বেছে নেবেন৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী দুই শিবিরের মধ্যে সামান্য ফারাক রয়েছে৷ সেইসঙ্গে রয়েছেন অনেক ভোটার, যাঁরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনস্থির করে উঠতে পারেননি৷ তাঁরাই দাঁড়িপাল্লার হিসেব বদলে দিতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

তার উপর সব ভোটার আদৌ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন কিনা, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন৷ যেমন বয়স্ক মানুষের মধ্যে বেশি উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শেষ পর্যন্ত ভোট দেবার ক্ষেত্রে কিছুটা অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ এমনটা হলে ব্রেক্সিট-পন্থিদের পাল্লাভারি হতে পারে৷ ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন বলে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন৷

ভোটারদের সিদ্ধান্তের পরিণতি কতটা সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ তিনি বলেন, বিমান থেকে একবার ঝাঁপ দিলে আবার সেখানে ফিরে যাবার কোনো উপায় থাকে না৷ তাই যাদের মনে কোনো সংশয় রয়েছে, তাদের ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার-ও বুধবার সাফ বলে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট শিবিরের জয় হলে নতুন করে ব্রিটেনের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ থাকবে না৷ তাঁর ভাষায়, ‘আউট ইজ আউট'৷

অন্যদিকে ব্রেক্সিট-পন্থি শিবিরের অন্যতম প্রধান নেতা বরিস জনসন বলেন, ব্রিটেন ও ইউরোপ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে এসে পড়েছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য