1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপ্লবের পর আরও পর্যটকের আশা করছে মিশর

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

১৮ দিন ধরে তুমুল বিপ্লব মিশরের ৩০ বছরের শাসককে গদি থেকে টেনে নামাতে সমর্থ হয়েছে৷ কিন্তু এই বিপ্লবের কোনো নেতিবাচক প্রভাব কি পড়তে যাচ্ছে দেশটির পর্যটন শিল্পের উপর?

https://p.dw.com/p/10JJZ
ছবি: picture-alliance / dpa

মিশরে প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত৷ আর মিশর দেখতে পর্যটকদের টান থাকবে না, তা কি হয়? তাহলে মিশরকে নিশ্চয়ই তার পর্যটন শিল্প নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না৷ মিশরের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষদেরও আশা সেইরকমই৷ তারা মনে করছেন, এই বিপ্লব মিশরের পর্যটন ব্যবসাকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে৷ এবং সেই আকর্ষণ মানুষের মনে দীর্ঘদিন থাকবেও৷

ফারাওদের প্রত্নতাত্মিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ মিশর৷ সাথে রয়েছে পিরামিডের আকর্ষণ৷ যা সবসময়ই ভ্রমণপ্রিয় মানুষকে টানে৷ দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৯ সালে দেশটি প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছিল শুধু পর্যটন খাত থেকে৷

প্রচণ্ড রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে মিশরের গিজা পিরামিড দেখতে মানুষের ঢল নামে৷ কিন্তু সেই জায়গা এখন পর্যটকশূন্য৷ তবে মিশরের অবকাশ যাপন কেন্দ্র শার্ম এল-শেখ-এর কর্মীদের মনে আশা রয়েছে৷ তারা বলছেন, সিনাই উপদ্বীপের অবকাশ কেন্দ্রটিতে প্যাকেজ ট্যুরের বন্দোবস্ত থাকে বেশি৷ বছরের এই সময়টাতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় থাকে সেখানে৷ তারা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতে ভ্রমণপিপাসুরা আবারো ছুটি কাটাতে আসবেন মিশরের এইসব জায়গায়৷

খোলা আকাশের নীচে একটি সিসাইড রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন ৩০ বছর বয়স্ক মাহমুদ এল-হালাফি৷ তিনি বললেন, ‘‘আগামী দিনগুলোর ব্যাপারে আমার মনে আশা রয়েছে৷ অনেকেই এখানে পাঁচ-ছয়বার আসেন, আবার ফিরে যান৷ হতে পারে, এবার এলে তারা ফিরে যাবেন অন্যরকম ধারণা নিয়ে, মুক্তির স্বাদ নিয়ে৷''

মিশরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমান বলেছেন, বিপ্লবের সময়ে আতঙ্কে মিশর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রায় দশ লাখ পর্যটক৷ এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১শ কোটি ডলার৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন