বিপ্লবের পর আরও পর্যটকের আশা করছে মিশর
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১মিশরে প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত৷ আর মিশর দেখতে পর্যটকদের টান থাকবে না, তা কি হয়? তাহলে মিশরকে নিশ্চয়ই তার পর্যটন শিল্প নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না৷ মিশরের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষদেরও আশা সেইরকমই৷ তারা মনে করছেন, এই বিপ্লব মিশরের পর্যটন ব্যবসাকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে৷ এবং সেই আকর্ষণ মানুষের মনে দীর্ঘদিন থাকবেও৷
ফারাওদের প্রত্নতাত্মিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ মিশর৷ সাথে রয়েছে পিরামিডের আকর্ষণ৷ যা সবসময়ই ভ্রমণপ্রিয় মানুষকে টানে৷ দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৯ সালে দেশটি প্রায় ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করেছিল শুধু পর্যটন খাত থেকে৷
প্রচণ্ড রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে মিশরের গিজা পিরামিড দেখতে মানুষের ঢল নামে৷ কিন্তু সেই জায়গা এখন পর্যটকশূন্য৷ তবে মিশরের অবকাশ যাপন কেন্দ্র শার্ম এল-শেখ-এর কর্মীদের মনে আশা রয়েছে৷ তারা বলছেন, সিনাই উপদ্বীপের অবকাশ কেন্দ্রটিতে প্যাকেজ ট্যুরের বন্দোবস্ত থাকে বেশি৷ বছরের এই সময়টাতে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড় থাকে সেখানে৷ তারা আশা করছেন, আগামী দিনগুলোতে ভ্রমণপিপাসুরা আবারো ছুটি কাটাতে আসবেন মিশরের এইসব জায়গায়৷
খোলা আকাশের নীচে একটি সিসাইড রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন ৩০ বছর বয়স্ক মাহমুদ এল-হালাফি৷ তিনি বললেন, ‘‘আগামী দিনগুলোর ব্যাপারে আমার মনে আশা রয়েছে৷ অনেকেই এখানে পাঁচ-ছয়বার আসেন, আবার ফিরে যান৷ হতে পারে, এবার এলে তারা ফিরে যাবেন অন্যরকম ধারণা নিয়ে, মুক্তির স্বাদ নিয়ে৷''
মিশরের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমান বলেছেন, বিপ্লবের সময়ে আতঙ্কে মিশর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রায় দশ লাখ পর্যটক৷ এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১শ কোটি ডলার৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন