1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপজ্জনক স্ট্রাইকার ফার্নান্দো টরেস

৩ জুন ২০১০

বর্তমান বিশ্বের যে কয়জন স্ট্রাইকারকে এই মুহুর্তে বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয় স্পেনের ফার্নান্দো টরেস তার মধ্যে অন্যতম৷

https://p.dw.com/p/NgLf
ছবি: AP

যদিও বিশ্বকাপ শুরুর আগে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি, তবে স্পেনের দুই তৃতীয়াংশ জনগণই মনে করছে ইনজুরি কাটিয়ে উঠে খেলতে পারবে তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়৷

জন্ম ও ক্লাব ক্যারিয়ার

ফার্নান্দো টরেসের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২০ মার্চ, স্পেনের ফুয়েনলাব্রাডাতে৷ মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ফুটবলে হাতে খড়ি তার৷ এই সময় তিনি যোগ দেন স্থানীয় বাচ্চাদের একটি দলে৷ ফুটবলার হওয়ার পেছনে তাঁর বাবা-মার উৎসাহ ছিল বেশ৷ ছোট থেকেই ইনডোর ফুটবল খেলতে শুরু করেন টরেস৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বের এই নামকরা স্ট্রাইকার কিন্তু শুরুতে গোলরক্ষক হিসেবে ফুটবল খেলা শুরু করেন৷ এলাকার ক্লাব এথলেটিকো মাদ্রিদের জুনিয়র দলে নাম লেখিয়ে ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু৷ এরপর ২০০১ সালে একই ক্লাবে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নাম লেখান তিনি৷ তার দুর্দান্ত পারফরমেন্স শুরুতেই সকলের নজর কাড়ে৷ তাই মাত্র ১৯ বছর বয়সেই দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান টরেস৷ দীর্ঘ ১২ বছর ছিলেন তিনি এই ক্লাবটিতে৷ এসময় এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে লিগে ১৭৪টি ম্যাচে ৭৫টি গোল করেছেন৷ ২০০৭ সালে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে ডাক পড়ে তাঁর৷ নিজের দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান ২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে৷ আর প্রথম মৌসুমেই ২৯ গোল করে বুঝিয়ে দেন তার আসল মূল্য৷ চলতি মৌসুমেও ২২ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন অল রেড'দের হয়ে৷

Flash-Galerie WM-Stars Fernando Torres
যে কয়জন স্ট্রাইকারকে এই মুহুর্তে বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হয় টরেস তার মধ্যে অন্যতমছবি: picture-alliance/dpa

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

২০০৩ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় টরেসের৷ এরপর মাত্র ২৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই ৬০টি ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার রেকর্ড করে বসেন তিনি৷ তবে ক্লাবের মত বিশ্ব ফুটবলে কিন্তু এত সহজে গোল পাননি তিনি৷ আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হওয়ার দীর্ঘ ছয় মাস পর তিনি ২০০৪ সালে ইটালির বিপক্ষে প্রথম গোল পান৷ এখন পর্যন্ত ৭১ ম্যাচে ২৩ গোল করেছেন তিনি যা তাঁর ক্লাব ক্যারিয়ারের সঙ্গে একেবারেই বেমানান৷ তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটি বোধহয় দুই বছর আগে ইউরো কাপের ফাইনালে৷ কারণ তাঁর করা জয়সূচক গোলেই জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন, আর দীর্ঘ চার দশকে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা লাভ করে তারা৷ গত বিশ্বকাপে স্পেন বাদ পড়ার আগে পর্যন্ত টোরেসের পা থেকে আসে তিনটি গোল৷

পজিশন ও শক্তিশালী দিক

বরাবরই স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে থাকেন টরেস৷ অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতিতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিতে সক্ষম এই স্ট্রাইকার৷ বাতাসে ভেসে থাকা বলের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণও চোখে পড়ার মত৷ তবে তাঁর যে জিনিষটি সবচেয়ে বেশি চমকে দেয় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকদের সেটা হলো তাঁর জোরালো শট৷ দূর থেকে আচমকা বুলেট গতিতে তিনি বল জালে জড়িয়ে দেন৷ এবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারলে তাঁর এই শট যে দেখা যাবে তা প্রায় নিশ্চিত৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী