বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
২১ মে ২০১১গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাড়ছে লোডশেডিং৷ কুইক রেন্টালের মাধ্যমে সরকার দ্রুত কিছু বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার চেষ্টা করছে৷ কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই কুইক রেন্টালগুলোকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ তারপরও নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদনে যেতে পারেনি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান৷ তবে আশার খবর হল, আগামী ২৫ ও ২৬ মে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে নতুন ১৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ৷ এর মধ্যে ২৫ মে আসছে এগ্রিকোর নামে একটি কুইক রেন্টালের ৮০ মেগাওয়াট আর ২৬ মে আসছে ইউনাইটেড নামে আরেকটি কুইক রেন্টালের ৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ৷ তারপরও লোডশেডিং নিয়ে চিন্তিত সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷
গত বছরের আগষ্ট মাস থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকার হোটেল, রেস্তোরাঁ আর ফার্মেসি ছাড়া সব ধরনের বিপণি-বিতান রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল৷ বর্তমানেও সে নির্দেশনা বহাল রয়েছে৷ কিন্তু সরকারি নির্দেশ মানছেন না অনেক দোকানি৷ নিয়ম ভেঙে অনেক দোকান খোলা থাকছে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত৷ যদিও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলোর দাবি, রাত ৮টার মধ্যে এগুলো বন্ধ হচ্ছে কিনা তার ওপর নজর রাখছেন তারা৷ ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সোবহান বলেছেন, কেউ যদি রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ না করে তাহলে ওই ফিডার বন্ধ করে ওই এলাকায় লোডশেডিং করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
আর ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমেদ বলেছেন, কিছু ভিজিলেন্স টিম করা হয়েছে৷ তারা প্যাট্রল ডিউটি করছে৷ অনেক সময় ওই টিমের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর পুনরায় দোকান খোলা হচ্ছে৷ এগুলো ধরা পড়লে ওই দোকানিকে একটি নোর্টিশ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া কোন তাদের আর কোন পথ নেই৷
ব্যবসায়ী-ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের এই উদ্যেগ সফল হবে না বলে মনে করছেন তারা৷ তবে সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা না করায় কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার৷ আবদুস সোবহান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার উদ্যেগ নিয়েছেন তারা৷ শিগগিরই অভিযান শুরু হবে৷
আর মঞ্জুর আহমেদ বললেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যদি একজনকেও শাস্তি দেয়া যায় তাহলে অন্যরা সতর্ক হবে৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক