1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্ধস্ত বুদ্ধমূর্তিগুলিকে সংস্কার করছে আফগানিস্তান

৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের নীরব সাক্ষী যেন বুদ্ধের মূর্তিদু'টি৷ বরফের টোপর পরা হিন্দুকুশ পর্বতের সামনে বামিয়ানের সবুজ উপত্যকার দিকে মুখ করে বিদ্ধস্ত অবস্থায় যা আজও দাঁড়িয়ে আছে৷

https://p.dw.com/p/P3qU
বামিয়ানের সেই শূণ্য গহ্বরছবি: AP

আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্য বুদ্ধমূর্তি৷ পাহাড়ের খাঁজ কেটে তৈরি করা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বুদ্ধমূর্তিকে দেখতে ছয়ের দশকের হিপি আন্দোলনের সময় থেকে পাশ্চাত্ত্যের ভ্রামণিকরা ভিড় করতেন সেখানে৷ কিন্তু তালেবানরা যখন সে দেশে ক্ষমতায় ছিলো সে সময় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভেঙ্গে ফেলে মূর্তি দু'টোকে৷

যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির হারানো পর্যটনশিল্পকে আবারও মাথা তুলে দাড়াতে পনেরোশ বছরের পুরানো মূর্তি দু'টিই পারে একমাত্র সাহায্য করতে৷ তাই আফগান সরকার মূর্তিগুলোর সংস্কার কাজে নেমেছে৷

এদিকে, সেখানকার অধিবাসীরা যদিও দাবি করে আসছে দেশটির মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা হচ্ছে বামিয়ান৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে জঙ্গিদের কিছু কার্যকলাপ তাদের সেই দাবিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলেছে৷

জুলাই মাসে নিউজিল্যান্ডের এক সৈনিক তালেবানদের হামলায় মারা যান বামিয়ানে৷ সে সময়ে জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় মারা যান আরও ছয়জন আফগান নাগরিক৷ তারপরেও বামিয়ান কিন্তু পর্যটকদের টানছে৷

Flash-Galerie Afghanistan Buddha Statuen von Bamiyan
১৯৯৯ সালের মে মাসে তোলা হয়েছিল এই ছবিছবি: AP

মোহাম্মদ হাশিম সম্প্রতি কাবুল থেকে বামিয়ানে বেড়াতে এসেছিলেন৷ বলছিলেন, বুদ্ধগুহা এতটা বিস্ময়বিহবল করে তোলে যে আমি আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না৷ মূর্তি দুটির একটি তিপ্পান্ন মিটার এবং আরেকটি পয়ঁত্রিশ মিটার লম্বা৷ এগুলোকে দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, কিন্তু আমার খুব মায়া লাগছে যে মুর্তিগুলো আর আগের মতো নেই৷

আফগানিস্তানের রাজধানী ও দেশটির যেকোনো অঞ্চলের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে বামিয়ান শহরের বুদ্ধমূর্তি৷ যা এরইমধ্যে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যেও স্থান পেয়েছে৷ আর এই ভাস্কর্যকে নতুন করে মূল আদলে ফিরিয়ে আনতে তহবিল দিচ্ছে জাপান৷ কীভাবে একে মূল আদলে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে এরইমধ্যে স্থানীয় ও বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবও এসে গেছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়