1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে জার্মান সেনাবাহিনীর দ্বার

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

অভিবাসীদের জার্মান সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের কথা ভাবছে জার্মানি৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বিষয়টি উঠে এসেছে৷ তবে সংসদের অনুমোদন ও সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর পরই চালু হবে এই নতুন বিধান৷

https://p.dw.com/p/10HdW
জার্মান সেনাবাহিনীতে এবার অভিবাসীরাও অংশ নেবেনছবি: AP

তরুণ-যুবাদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷ ফলে আগামীতে শুধুমাত্র তারাই এগিয়ে আসবে যাদের সামরিক পেশায় আগ্রহ রয়েছে৷ আর তাতে বেশ সংকটে পড়তে যাচ্ছে জার্মান সেনাবাহিনী৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে বিদেশের মাটিতে যতো সংখ্যক জার্মান সৈন্য মোতায়েন প্রয়োজন তা কীভাবে মেটাবে মধ্য ইউরোপের এই দেশ? ৭২ পৃষ্ঠার প্রস্তাবে এসব প্রশ্নের উত্তর দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল টেয়োডোর সু গ্যুটেনব্যার্গ৷

এই প্রস্তাবেই এবার উঠে এসেছে জার্মানিতে অবস্থান করা অভিবাসীদের জন্য একটি সুখবর৷ প্রস্তাব করা হয়েছে জার্মান আইনকে আরো অবমুক্ত করার৷ তার অর্থ, যেসব বিদেশি নাগরিক জার্মানিতে বসবাস করছে তারা চাইলে জার্মান সেনাবাহিনীতেও যোগ দিতে পারবে৷ এমনকি জার্মান নাগরিকত্ব না থাকলেও এই সুযোগ পাওয়া যাবে৷ অবশ্য, সামরিক বাহিনীতে কাজ করার মতো দক্ষতা, মনোভাব এবং সক্ষমতার ব্যাপারে কোন ছাড় নেই৷ এসব দিক থেকে যোগ্য বিদেশিরাই পেতে পারে জার্মান সেনা সদস্য হওয়ার সুযোগ৷

তবে এ বিষয়ে আরো কিছু তথ্য প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্টেফেন মরিৎস৷ তিনি বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের বেশি করে জার্মান সামরিক বাহিনীতে আকর্ষণের চেষ্টা করছি আমরা৷ সাথে সুইজারল্যান্ডের মতো বিশেষ কিছু দেশ যাদের সাথে আমাদের পেশাগত মানের স্বীকৃতির ব্যাপারে চুক্তি রয়েছে সেসব দেশ থেকেও এই খাতে জনশক্তি নেওয়া যেতে পারে৷'' তবে যারা আগে থেকে জার্মানিতে বসবাস করছে তাদেরকেই নিয়োগের ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে৷ এমনটি নয় যে এখন সামরিক বাহিনীর জন্য বিদেশ থেকে দলে দলে লোক আনা হবে৷

এছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যুটেনব্যার্গ ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, জার্মান সেনাবাহিনীকে আরো আধুনিক করে তুলতে এবং একইসাথে খরচ কমাতে এর সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে৷ আড়াই লাখ সেনা সদস্যের বিশাল বাহিনীকে ছোট করে সদস্য রাখা হবে এক লাখ পঁচাশি হাজার৷ তবে মরিৎস আরো বলেন, এসব কিছুই এখনও প্রস্তাব৷ আইন কিংবা সিদ্ধান্তে পরিণত হতে সংসদের অনুমোদন ও সংবিধানের সংশোধনী প্রয়োজন হবে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন