1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশযাত্রায় যোগ হচ্ছে বাংলাদেশি জেলেরা

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের কদর নেহাত কম নয়৷ মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে পশ্চিমা নানা দেশেও দেখা যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের৷ এদের কেউ পেশায় শ্রমিক, কেউ কর্মজীবী আবার কেউবা ব্যবসায়ী৷ কিন্তু এদেশের জেলেদের কী কেউ বিদেশে দেখেছেন?

https://p.dw.com/p/PK6v
সমুদ্র উপকূলের জেলেরা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বলতে পারেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তো অনেক জেলে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে৷ হ্যাঁ, তা ঠিক৷ তবে তারা হয় পথ ভুলেছে নতুবা ঝড়ে পড়ে ভিন দেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ কিন্তু একেবারে সরকারিভাবে মাছ ধরার জেলেদের বিদেশ যাত্রা বোধহয় হয়ে ওঠেনি এখনো৷

সে যাই হোক, আসল কথায় ফিরি৷ মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে ছয় হাজার মৎস্যজীবী নিয়োগের আগ্রহ দেখেয়েছি৷ সেদেশের ক্রমবর্ধমান মৎসখাতে কাজ করবে এই কর্মীরা৷ এই বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, আমি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলেছি৷ ছয় হাজার মৎসজীবী নিয়োগের ব্যাপারে তারা আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছে৷ এই প্রথম মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে মাছ ধরার জেলে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলো৷

Thunfisch Fang Flash-Galerie
গভীর সমুদ্রে কাজ করবে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/ dpa

এদিকে, ইতিমধ্যেই মৎসজীবীদের বিদেশ যাত্রায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে বলে খবর৷ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান এই বিষয়ে জানান, আমরা প্রশিক্ষিত মৎস্যজীবীদেরই মালয়েশিয়ায় পাঠাবো৷ সমুদ্র উপকূল এলাকার জেলেদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে৷

বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সরকারি উদ্যোগে এবছরই প্রশিক্ষিত মৎস্যজীবীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে৷ তাদের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে৷ একেকজন জেলে গড়ে বেতন পাবেন ১৫ হাজার টাকা৷ তবে বেতনের সঙ্গে পণ্য বিক্রির ওপর কমিশন এবং বীমাসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধাও থাকবে৷ নিয়োগকর্তা জেলেদের বিমানভাড়া, থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসারও দায়িত্ব নেবেন৷ তিন বছর মেয়াদে বাংলাদেশি জেলেদেরকে কাজ করতে হবে গভীর সমুদ্রে৷

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের শুরুতে মালয়েশিয়া চাকুরিপ্রার্থী ৫৫,০০০ বাংলাদেশি শ্রমিকের ভিসা বাতিল করে৷ এরপর গত দেড়বছর বাংলাদেশ থেকে সেদেশে কর্মী নিয়োগ একরকম বন্ধ ছিল৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়