বিজ্ঞানে নেদারল্যান্ডসের সাত অবদান
টিউলিপ, চিজ এবং উইন্ডমিল৷ এগুলো দেখলে মনে হবে নেদারল্যান্ডস আসলে অনেক শান্ত এবং ঐতিহ্যবাহী এক দেশ৷ শুধু কি তাই? বিজ্ঞানেও সেদেশের অবদান অনেক৷ চলুন দেখে নিই৷
ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে
ডুবতে শুরু করলে আপনি কী করবেন? পানির উপর নতুন শহর কি গড়বেন? ২০০৯ সালে ডাচ বিজ্ঞানীরা ভাসমান শহরের ধারনা সৃষ্টি করেন৷ ডেল্টাসিন্কের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, এমন ভাসমান শহরের উপর পনের তলা পর্যন্ত উঁচু বিল্ডিং এবং রাস্তাঘাটও তৈরি সম্ভব৷
গবেষণাগারে মাংস তৈরি
এই মাংসটুকুর দাম তিন লাখ পাঁচ হাজার ইউরো! এবং এটুকু দিয়ে বড়জোর একটা বার্গার বানানো যাবে৷ হ্যাঁ, এটাই সত্যি৷ মাসট্রিট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ২০১৩ সালে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম মাংস৷ গবাদিপশুর স্টেম সেল ব্যবহার করে এই মাংস তৈরি করা হয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ভবিষ্যতে খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে এই মাংস, যদি অবশ্যই এর দাম কমিয়ে আনা যায়৷
অথবা আমরা ঝিঁঝিঁ পোকা খেতে পারি...
হুম, কীটপতঙ্গ খাওয়ার চল শুরুর দিক থেকেও এগিয়ে আছে নেদারল্যান্ডস৷ এক গবেষণায় জানা গেছে, ১০০ গ্রাম কীটপতঙ্গে ষাট গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা একই পরিমান মুরগির মাংসের চেয়ে দ্বিগুন৷ সে দেশের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের কীটপতঙ্গে খাওয়া যাবে, আর কোন ধরনেরটা খাওয়া যাবে না - সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
কিংবা মীলওয়ার্ম
যদি আপনি ঝিঁঝিঁ পোকা পছন্দ না করেন, তাহলে এমন মীলওয়ার্ম বেছে নিতে পারেন৷ ওয়েজিনেঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনের মেন্যুতে এখন ঝিঁঝিঁ পোকা এবং মীলওয়ার্ম যোগ করা হয়েছে৷ পরখ করতে চাইলে যেতে পারেন সেখানে৷ স্বাদ নাকি খারাপ না৷
নজরদারি যেখানে স্বাস্থ্যসেবা
নেদারল্যান্ডসের ভেইস্প গ্রামটিতে প্রবেশ করতে হয় গেট পেরিয়ে৷ সেখানে রয়েছে কমিউনাল স্কয়ার, থিয়েটার, বাগান এবং পোস্ট অফিস৷ তবে গ্রামটির বাসিন্দাদের চব্বিশ ঘণ্টাই নজরদারির মধ্যে রাখা হয়৷ সাদা পোশাকের তত্ত্বাবধায়করা সব সময় গ্রামের মধ্যে ঘোরাঘুরি করেন৷ বাড়িঘরে দরজাও একটি করে৷ গ্রামটির বাসিন্দারা একেকটি ঘরে ছয় বা সাতজন করে দল বেঁধে থাকেন৷ স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া মানুষদের এই গ্রামে চিকিৎসা দেয়া হয়৷
ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা এবং প্রযুক্তি কেন্দ্র
অনেক বড় এক গবেষণা কেন্দ্র এটি৷ এখানে স্পেস মিশনের পরিকল্পনা, স্যাটেলাইট পরীক্ষা, এমনকি স্পেস সিস্টেম তৈরি পর্যন্ত সবই করা হয়৷