বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ও সংঘাতের মধ্যে বিএনপির হরতাল পালিত
৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় বলতে গেলে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে৷ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপির দাবি৷ হামলা হয়েছে বিএনপি নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মান্নানের ধানমন্ডির বাসায়৷ এদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিশ্বকাপের আগে এই হরতাল দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে৷
সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ছিল অ্যাকশন মুডে৷ হরতালের সমর্থনে সেখান থেকে কোন মিছিলই তারা বের হতে দেয়নি৷ যারা চেষ্টা করছেন তাদের ধাওয়া ও লাঠিপেটা করে পুলিশ হটিয়ে দেয়৷ পুলিশের হাতে সেখানে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপি দাবি করেছে৷
বিএনপি নেতা মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন তাদের কাউকেই বিএনপি অফিসের বাইরে বের হতে দেয়নি পুলিশ৷ আর রিজভী আহমেদ দাবি করেন, অগণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের আন্দোলন দমন করা হচ্ছে৷
রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও পুলিশ হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷ সকালে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতা আব্দুল মান্নানের ধানমন্ডির বাসায় হামলা চালায়৷ তবে এর মধ্যেই ছাত্রলীগ বের করে হরতাল বিরোধী মিছিল৷
বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার দাবি করেন বাধা সত্ত্বেও মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করেছে৷ সাধারণ মানুষ দু:শাসনের অবসান চায়৷
এদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিরোধী দল নিজেরা সংকট সৃষ্টি করে আবার নিজেরাই হরতাল ডেকেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য ও শেয়ারবাজারের সংকট বিরোধী দল তৈরি করছে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন৷
হরতালে রাজধানীতে যানবাহন তেমন চলাচল করেনি৷ ক্লাস হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে৷ শেয়ার বাজারে লেন-দেন হয়েছে৷ ব্যাংক, বীমা এবং অফিস আদালত খুললেও তেমন কাজ-কর্ম হয়নি৷ খোলেনি দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ তবে তৈরি পোশাক শিল্পে কাজ হয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন