বিচারপতিদের সামনে ‘মুলো না ঝুলানোর’ অনুরোধ
২৫ এপ্রিল ২০১১বাংলাদেশের পত্রপত্রিকাগুলিতে সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে বিজ্ঞজনের অভিমত বড় করে স্থান পেয়েছে৷ জাতীয় সংসদ ভবনে ঐ বৈঠক চলে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা৷ কাজেই সব পত্রিকাতেই সুদীর্ঘ প্রতিবেদন, বক্তাদের বক্তব্যের সারাংশ৷ তবে মোটামুটি এ'টুকু বলা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগকে না জড়ানোর এবং সাবেক প্রধান বিচারপতিদের প্রধান উপদেষ্টা না রাখার পরামর্শ প্রায় সকলের৷ তারা বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়ার বিরোধী৷ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম না রাখার সুপারিশও প্রায় সকলের৷
বাহাত্তরের সংবিধান রচয়িতা কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেন ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং বাহাত্তরের মূল চেতনা নিয়ে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এবং তার সেই সংবিধান কমিশন গঠনের প্রস্তাবটিরও পুনরাবৃত্তি করেছেন৷
ইউনূস প্রসঙ্গ৷ কালের কণ্ঠের বিবরণ অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির দূত মার্তাঁ হির্শ'কে বলেছেন যে, ‘কয়েকজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার সুযোগে বাংলাদেশের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছেন', যেন তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে অথবা প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এসব করছেন৷ দীপু মনি হির্শকে আরো জানান যে, সরকার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং সেক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হয়নি৷
সুখকর প্রসঙ্গ: ডিজিটাল বাংলাদেশ আরো এক ধাপ কাছে এসে পড়ল৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ই-বুক উদ্বোধন করেছে, সে খবর আছে একাধিক পত্রিকায়৷ এ' হল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বইয়ের একটি ডিজিটাল সংকলন, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে৷ ইত্তেফাকে রয়েছে শেখ হাসিনার একটি মন্তব্য: তাঁর প্রবাসী সন্তানরাই নাকি তাঁকে ই-বুক চালু করতে অনুপ্রাণিত করেছে৷ আগে তারা বিদেশ থেকে বাড়ি আসতো বইয়ের বোঝা নিয়ে, এখন কেবল আইপড সঙ্গে করে আনে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম