বায়ার্নের পর পর দশ নম্বর জিত আর হল না
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০অথচ বায়ার্ন যে খুব খারাপ খেলেছে, এমন নয়৷ ৩৮ মিনিটের মাথায় থমাস ম্যুলার মারিও গোমেজের একটি ক্রস নেটের কোণায় তুলে দেয়৷ কিন্তু হাফটাইমের ন' মিনিট পরেই নুরেমবার্গের ইলকাই গুন্ডোগান বায়ার্ন গোলকীপার ইয়র্গ বুট-এর একটি ভুলের সুযোগ নিয়ে গোলটি পরিশোধ করে৷ এটি ছিল আবার বুন্ডেসলিগায় গুন্ডোগানের প্রথম গোল৷ - খেলার পরে বায়ার্ন কোচ লুইস ফ্যান গাল বলেন, তাঁর দল গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লীগে ফিওরেন্তিনা, অর্থাৎ ফ্লোরেন্স'কে যে'ভাবে হারিয়েছে, তার তুলনায় বায়ার্ন নুরেমবার্গের বিরুদ্ধে তিনটি পয়েন্ট নষ্ট করেছে বলা চলে৷
ওদিকে বায়ার্ন শনিবার জিততে পারলে গত মরশুমে ভোল্ফসবুর্গ আর ১৯৮৬-৮৭'র সীজনে বোরুসিয়া মোয়েনশেনগ্লাডবাখের করা রেকর্ডকে ধরে ফেলতে পারতো - অর্থাৎ পর পর দশটি ম্যাচে জয়৷ তবুও বায়ার্ন এখন একটি পয়েন্টের তফাতে তালিকার শীর্ষে৷ রবিবার লেভারকুজেন ব্রেমেনকে হারালে তারা দু'পয়েন্টে এগিয়ে যাবে৷ আর বর্তমানে তৃতীয় স্থানে শালকে যদি রবিবার ভোল্ফসবুর্গকে হারাতে পারে, তবে তারা বায়ার্নের এক পয়েন্টের মধ্যে এসে পড়বে৷
শনিবারের আরো দু'টি খেলায় হামবুর্গ ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে গোললেস ড্র করেও তালিকায় চতুর্থই থাকছে৷ আর পঞ্চম ডর্টমুন্ড হ্যানোভারকে ৪-১ গোলে ঠাণ্ডা করে দিয়ে ব্যবধানটা কমিয়ে এনেছে৷ - তবে শনিবারের আসল ঝলক ছিল কোলোনের বিরুদ্ধে স্টুটগার্টের খেলায়৷ ফলাফল দাঁড়ায় ৫-১, স্টুটগার্টের পক্ষে৷ তার মধ্যে ব্রাজিলিয়ান জাদুকর কাকাও হাফটাইমের আগেই হ্যাটট্রিক করে, এবং খেলা শেষ হওয়ার আগে আরো একটি গোল যোগ করে৷ মজার কথা এই যে, কাকাও স্টুটগার্টের এর আগের চারটি ম্যাচের একটিতেও মাঠে নামতে পারেনি৷ ম্যাজিকের জন্য দৃশ্যত ম্যাচ প্র্যাকটিস লাগে না৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই