1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাহরাইনে দাফন অনুষ্ঠানে পুলিশি অ্যাকশন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাহরাইনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তির দাফন অনুষ্ঠানে সমবেত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ এছাড়া পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আরো একজন নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10HHj
মিশর এবং টিউনিশিয়ার বিপ্লবে উৎসাহিত হয়ে বাহরাইনের শিয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনছবি: picture alliance / dpa

সোমবার দায়িহ গ্রামের শিয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের লক্ষ্য করে চালানো পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় ২২ বছর বয়সি ঐ যুবক৷ মঙ্গলবার তার দাফন সম্পন্ন করতে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক মানুষ৷ কিন্তু এসময় সাধারণ মানুষের উপর আবারও চড়াও হয় পুলিশ৷ বিরোধী শিয়া দল ‘ওয়েফাক' থেকে নির্বাচিত সাংসদ ইব্রাহিম মাত্তার জানিয়েছেন, ‘‘হাসপাতালের পাশেই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার কারণে জনতা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে৷ পরে আবারো তারা একত্রিত হয়৷''

তিনি আরো জানান যে, মঙ্গলবার আরো এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে৷ আরবি টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দাফন অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রাণ হারায়৷ অবশ্য দ্বিতীয় নিহত ব্যক্তি সোমবারের সংঘর্ষে আহত হয়ে থাকার পর মঙ্গলবার মারা গেছে কি না তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়ে গেছে৷

এদিকে, বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে প্রকাশিত বিবৃতিতে সোমবারের ঘটনায় নিহত শিয়া যুবকের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ এছাড়া তাকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে৷ বাহরাইন সরকার মূলত বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সোমবারের ঘটনায় হতাহতদের অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিশর এবং টিউনিশিয়ার সফল বিপ্লবে উৎসাহিত হয়ে বাহরাইনের শিয়া জনগোষ্ঠী যেন সরকার বিরোধী আন্দোলনে মেতে না ওঠে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে সরকার৷ তবে শিয়া বিক্ষোভকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ক্ষোভ সুন্নি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নয়, তারা শুধু সমানাধিকারের জন্য লড়ছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন