1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু’

ইয়ান ব্রুক / এসি৩০ নভেম্বর ২০১৩

দক্ষিণ ফ্রান্সের সমুদ্রসৈকত বিয়ারিৎস৷ শিল্পী স্যাম ডুগাডোস সেখানে উন্মুক্ত বালুচরে ছবি আঁকেন৷ হাতে একটি আঁকশি ছাড়া আর কিছু থাকে না৷

https://p.dw.com/p/1AQYl
ছবি: PhotographyByMK

স্যাম নিজেকে স্ট্রিট আর্টিস্ট বা পথশিল্পী বলে মনে করেন৷ বিচ-টাই হল তাঁর রাস্তা৷ তাঁর ছবিগুলো প্রকাশ্য এবং সবার জন্য৷ হাতের আঁকশি দিয়ে তিনি সুবিশাল বেলাভূমিতে তিনি সুবিশাল সব ছবি আঁকেন৷ তাঁর নিজের শহর বিয়ারিৎসে৷ এছাড়া দক্ষিণ ইংল্যান্ডের উপকূলে কিংবা বার্মুডা দ্বীপপুঞ্জে

সার্ফার এবং সৈকতশিল্পী স্যাম ডুগাডোস বলেন: ‘‘আমি এই বিচ-এর কাছেই থাকি এবং এটা সম্ভবত সবচেয়ে সুন্দর স্টুডিও, একটা জীবন্ত স্টুডিও, যেমন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, সাগরের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছেন, নোনাপানির গন্ধ পাচ্ছেন৷ এইজন্যই আমি এখানে সময় কাটাতে ভালোবাসি৷''

তাঁর ‘কাজের' জন্য স্যাম ডুগাডোস-কে সাগরে জোয়ার-ভাটার খেয়াল রাখতে হয়৷ শুধু ভাটার সময়েই বালুচর অনেকটা চওড়া হয়ে যায়৷ এ যাবৎ একশো'র বেশি এ ধরনের ছবি ‘এঁকেছেন' ডুগাডোস৷ ছবির আকার অনুযায়ী আঁকতে দু' থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে৷ জেনেশুনেই দড়ি কিংবা অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করেন না তিনি৷ ছবি যাতে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ঠিক থাকে, সে জন্য ডুগাডোস বালিতে দাগ কেটে রাখেন – এবং পা ফেলে মেপে দেখেন৷

Glückliche Frau
স্যাম নিজেকে স্ট্রিট আর্টিস্ট বা পথশিল্পী বলে মনে করেন এবং এক্ষেত্রে তাঁর রাস্তা হলো সৈকতছবি: Fotolia/detailblick

ছবির কোনো নির্দিষ্ট ‘মোটিফ' থাকে না৷ বালুচরের আকৃতি ও বিস্তার অনুযায়ী ছবি আঁকেন ডুগাডোস৷ তাঁর ছবির দর্শকরা হলেন সার্ফার, সাঁতারু এবং যারা হাঁটতে বেরিয়েছেন, তারা৷ সবাই যে ছবি বাঁচিয়ে হাঁটাচলা করছেন, এমন নয়৷ স্যাম বলেন: ‘‘আমি ওদের থামাতে পারি না কেননা বিচ-টা সবার এবং আমি মাঝেমধ্যে গোটা বিচ-টাই ব্যবহার করি৷ কিন্তু এই নাচিয়েদের মতো যদি অন্য কোনো কাজে আমার ছবি ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা ভালোই লাগে কেননা তা আমার ছবিকে নতুন জীবন দেয়৷ বিশেষ করে বাচ্চারা যখন ছবির মধ্যে নাচে কিংবা অন্য কিছু করে, তখন খুব ভালো ফটো তোলা যায়৷''

পথচারী কিংবা দর্শকদের প্রতিক্রিয়াগুলোও শোনবার মতো৷ কেউ বলেন, ‘‘দারুণ৷ যেন জেন মেডিটেশন৷'' অথবা ‘‘খুবই সুন্দর ও মৌলিক৷ এ রকম সচরাচর চোখে পড়ে না৷ এতে বিচ-টা জীবন পায়, বালিতে সুন্দর নকশা হয়৷ ওপর থেকেও দেখতে খুব সুন্দর লাগে৷''

আঁকার পর ছবিটা ক্যামেরায় ধরে রাখেন স্যাম ডুগাডোস৷ তাঁর মনোভাব হল: ‘‘আমার আঁকা ছবি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উবে গেলেও আমার কিছু আসে যায় না৷ কিন্তু ছবিটা ক্ষণিকের বলেই মানুষজন আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে দেখে – এছাড়া আমি পরের দিন আবার একটা আনকোরা সাদা ক্যানভাস পাই৷''

বিয়ারিৎসের বালুকাবেলায় স্যাম ডুগাডোসের ছবি থাকে ঘণ্টা দু'য়েক৷ তারপরেই সাগরের ঢেউ এসে সব মুছে দিয়ে যায়৷