1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের টুইটে ঝড়

১৮ আগস্ট ২০১৭

বার্সেলোনায় ভ্যানের তলে ফেলে সাধারণ মানুষ হত্যা করার ঘটনায়, এক জেনারেলের শুকরের রক্তে বুলেট ভিজিয়ে মুসলিম সৈন্যদের খতম করার উদাহরণ টেনে টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ এখন এই টুইটে বইছে সমালোচনার ঝড়৷

https://p.dw.com/p/2iSSE
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট (ফাইল ছবি)ছবি: Twitter/Arnd Riekmann

যতটা দ্রুত ট্রাম্প শার্লটসভিলের ঘটনায় টুইট করেছেন, তার চেয়ে দ্রুত বার্সেলোনার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখালেন৷ সেখানে তিনি এমন এক জেনারেলের উদাহরণ টানলেন, যার বিরুদ্ধে শুকরের রক্তে বুলেট ডুবিয়ে মুসলিম সেনাদের হত্যা ও শুকরের সঙ্গে কবর দেয়ার একটি গল্প প্রচলিত আছে৷ তবে গল্পটি সত্য বলে কখনো প্রমাণিত হয়নি৷

বার্সেলোনা অ্যাটাকের পর ট্রাম্প প্রথমে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করেন৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই টুইটটি করেন৷

ট্রাম্পের টুইটটি বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘‘গবেষণা করে দেখুন, জঙ্গিদের ধরার পর অ্যামেরিকান জেনারেল পার্শিং কী করেছিলেন৷ পরের ৩৫ বছর ইসলামি জঙ্গিবাদ হাওয়া হয়ে গিয়েছিল৷’’

১৯০৯ সাল থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত জেনারেল জন পার্শিং আমেরিকার তৎকালীন উপনিবেশ ফিলিপিন্সের মোরো রাজ্যের গভর্নর ছিলেন৷

কথিত আছে, তিনি সেখানে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীকে দমন করার জন্য ৫০ জনকে ধরে তার ৪৯ জনকে শুকরের রক্তে ভেজা বুলেট দিয়ে গুলি করান৷ এরপর একজনকে ছেড়ে দেন কী ঘটেছিল তা বলার জন্য৷

আরেকটি ‘মিথ’ চালু আছে, তা হলো পার্শিং মৃত মুসলিম জঙ্গিদের শুকরের সঙ্গে কবর দেন৷ তবে এসব ঘটনার কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা নেই৷

ট্রাম্পের এই টুইটের পর সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে৷ গত বছর নির্বাচনের প্রচারণার সময়ও ট্রাম্প এ বিষয়টির অবতারণা করেছিলেন৷ সাউথ ক্যারোলাইনাতে প্রচারণার সময় পার্শিংয়ের নাম খুবই কৃতজ্ঞতার সুরে স্মরণ করেন তিনি৷ অতি ডানপন্থিদের সমর্থন আদায়ে তাঁর এসব কৌশল কাজে লেগেছে বলে ধারণা করা হয়৷

এবারও তাঁর এই মন্তব্য ‘বিশেষ রাজনৈতিক’ ফায়দা লোটার অংশ হিসেবেই করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এক সপ্তাহ আগে ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে একজন ‘সাদা' উগ্রতাবাদী জনতার উপর একইভাবে গাড়ি তুলে দেয়৷ সেই ঘটনার পর দু'দিন লেগেছে ট্রাম্পকে অতি ডানপন্থিদের ঘটনার জন্য দায়ী করতে৷ অবশ্য পরদিনই দু'পক্ষকেই দায়ী করে আবারো বক্তব্য দেন তিনি৷

অন্যদিকে, বার্সেলোনার ঘটনার পর ট্রাম্পের ‘প্রতিক্রিয়া’ ছিল খুবই দ্রুত ও একেবারেই বিপরীত৷

ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ অবশ্য দু'টি ঘটনাতেই একইরকমের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং সেটা ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই গেছে৷ নিজ দেশের ঘটনায় তিনি টুইট করেছেন, ‘‘আমাদের একতাবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷'' আর যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনায় তিনি লেখেন, ‘‘যারা বর্ণ ও জাতবিদ্বেষের বিপক্ষে লড়ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আছি৷ এই যুদ্ধ আমাদের সবার৷’’

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...