বার্লিন জয় করে গেলেন নাজমা
পোশাক শিল্পের কর্মীদের হয়ে বার্লিন জয় করে গেলেন নাজমা আক্তার৷ ১০ অক্টোবর তাঁকে ‘আস্ত্রাইয়া ফিমেল লিডার অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ দেয়ার অনুষ্ঠান দেখে তাই মনে হয়েছে৷ দেখুন সেই অনুষ্ঠানের কিছু ছবি৷
বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি
নাজমা আক্তারকে সম্মানিত করার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দেশ-বিদেশের অনেক গুণীজন৷ প্যালেস্টাইনের অর্থোপেডিক সার্জন হালিমা আলাইয়ানও ছিলেন তাঁদের মাঝে৷ ‘সলিডারিটি ফর বাংলাদেশ’ লেখা টি-শার্ট তুলে ধরে বাংলাদেশের সব পোশাক শ্রমিকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে৷
তারকার অটোগ্রাফ
অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল ‘সলিডারিটি ফর বাংলাদেশ’ লেখা টি-শার্টের ছড়াছড়ি৷ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের হাতে হাতে ঘুরেছে এই টি-শার্ট৷ কেউ সেলাই করে পোশাক শিল্প শ্রমিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ সেলাই করার পর অটোগ্রাফও দিয়েছেন৷ এখানে ‘সলিডারিটি ফর বাংলাদেশ’ লেখা টি-শার্টে স্বাক্ষর করছেন এক জার্মান মডেল৷
নিজে করি...
পোশাক শিল্প শ্রমিকদের নিয়ে ভাবতে গেলে, তাঁদের জীবন সম্পর্কে ধারণা নিতে গেলে তাঁরা কীভাবে কাজ করেন সেটাও একটু দেখে নেয়া ভালো৷ হাড় কাঁপানো শীতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে, শত ক্যামেরার ফ্ল্যাশের আলোয় বসে তাই সেলাই মেশিনে হাত রেখে প্রতীকী অর্থে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শ্রমিকদের সমব্যথী হলেন আরেক মডেল৷
তারকার আকর্ষণ
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন আনাবেলে মানডেং৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ বার্লিনের বিএমডব্লিউ কার্যালয়ের নির্ধারিত ঘরটিতে তিনি আসা মাত্রই সাংবাদিকদের মাঝে সাড়া পড়ে যায়৷ শুরু হয়ে যায় ছবি তোলা আর সাক্ষাৎকার নেয়ার হিড়িক৷ অভিনেত্রী, মডেল এবং জার্মান টেলিভিশন জগতের স্বনামধন্য তারকা – তাঁর দিকে সবার একটু বাড়তি আকর্ষণ তো থাকবেই!
নাজমার কান্না
অবশেষে এলো সেই শুভক্ষণ৷ উপস্থাপিকা ‘ফিমেল লিডার অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন নাজমা আক্তারের নাম৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগ সামলাতে পারেননি নাজমা৷ ১১ বছর বয়স থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সঙ্গে আছেন৷ শিশু কর্মী থেকে শ্রমিক নেত্রী – এই উত্তোরণের ধাপে ধাপে পাশে থেকেই দেখেছেন সকল শ্রমিক, বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের বঞ্চনা, অবর্ণনীয় কষ্ট৷ সেসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলেন নাজমা আখতার৷
ফটোসেশন
কান্না থামিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করা এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সব নারী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আস্ত্রাইয়াকে ধন্যবাদ জানাতেও দেরি করেননি নাজমা আক্তার৷ পুরস্কার নেয়ার পর অনেকক্ষণ ধরে চলেছে বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে ছবি তোলার পর্ব৷
সুরের মূর্ছনা
পুরস্কার দেয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অনেকটা সময় সবাইকে সুরের মুর্ছনায় মুগ্ধ করে রেখেছিলেন গিটে হ্যানিং৷ তাঁর পরিবেশনার একটি মুহূর্ত৷
সাক্ষাৎকারে নাজমা...
অনুষ্ঠান শেষ হলেও ব্যস্ততা কমেনি নাজমা আক্তারের৷ বেশ কিছু সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে তাঁকে৷ এক জার্মান সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ডয়চে ভেলের ক্যামেরা খুঁজে নেয় নাজমা আক্তারকে৷