1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত হলেই সরকার গঠন

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)৮ মার্চ ২০১৮

জার্মানির আগামী সরকারের মন্ত্রিসভায় এসপিডি দলের মন্ত্রীদের নাম সম্ভবত শুক্রবারই ঘোষণা করা হবে৷ বিপর্যস্ত এই দলকে চাঙ্গা করতে সেই তালিকায় বেশ কিছু চমক থাকতে পারে৷ বুধবার মন্ত্রিসভা শপথ নেবে৷

https://p.dw.com/p/2tvE5
৩৯ বছর বয়স্ক ফ্রানৎসিস্কা গিফাই বর্তমানে বার্লিন শহরের একটি এলাকার মেয়রছবি: DW

ডুবন্ত জাহাজ বাঁচাতে মানুষ কী না করে! জার্মানির এসপিডি দল জনসমর্থন হারাতে হারাতে তাই নানাভাবে ঘর সামলানোর চেষ্টা করছে৷ আগামী বুধবার আবার নতুন করে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছত্রছায়ায় মহাজোট সরকারে যোগ দেবার আগে এসপিডি অতীতের ভুল এড়াতে বদ্ধপরিকর৷ ছোট শরিক হিসেবে দলের অতীত সাফল্য ভোটারদের মন জয় করতে পারেনি৷ এবার কোয়ালিশন চুক্তিতে এসপিডি যথেষ্ট মাত্রায় নিজস্ব বিষয়গুলি অন্তর্গত করতে পেরেছে৷ কিন্তু শুধু সেই সাফল্যের উপর নির্ভর করে অগ্রসর হতে প্রস্তুত নয় এসপিডি নেতৃত্ব৷ চাই নতুন মুখ৷ এমন সব মুখ, যাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন৷ পুরুষ ও নারীর সমতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে এসপিডি৷ মন্ত্রিসভায় বরাদ্দ ৬টি পদের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করতে তাই চলছে জোরালো তৎপরতা৷

এমনই এক নতুন মুখ হতে পারেন অখ্যাত নেত্রী ফ্রানৎসিস্কা গিফাই৷ ৩৯ বছর বয়স্ক গিফাই বর্তমানে বার্লিন শহরের একটি এলাকার মেয়র৷ সমস্যায় জর্জরিত নয়ক্যোলন এলাকা সামলানোর কঠিন অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের জন্য তাঁকে যথেষ্ট কদর করা হয়৷ কড়া হাতে তিনি অরাজকতা দূর করে এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন৷ জার্মানির পূর্বাংশে ৫টি রাজ্যে দলের শাখা সংগঠনগুলি তাঁকেই মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান৷ পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি শ্রমমন্ত্রী অথবা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হতে পারেন – এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল৷

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে এসপিডি নেত্রী আন্দ্রেয়া নালেস বার্লিনে একটি অনুষ্ঠানে ফ্রানৎসিস্কা গিফাই-এর সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন৷ দলের পক্ষ থেকে অবশ্য মন্ত্রীদের তালিকা সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হচ্ছে না৷ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে৷

মন্ত্রিসভায় ৬টি পদের জন্য যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে এসপিডি নেতৃত্বকে অভিজ্ঞতা, বয়স, আঞ্চলিক ভারসাম্যসহ আরও অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হচ্ছে৷ সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য ও দলের মূল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব রাখতেই হবে৷ বর্তমান আইনমন্ত্রী হাইকো মাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেন৷ অন্যান্য যেসব অঞ্চলে দল খারাপ ফল করেছে, সেখান থেকেও উপযুক্ত প্রার্থীর খোঁজ চলছে৷ বিদায়ী মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল ও পরিবেশমন্ত্রী বারবারা হেন্ডরিক্স নতুন সরকারে মন্ত্রী হচ্ছেন না৷