1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনালে’তে ‘গান্ডু’ নিয়ে অগ্নিগর্ভ আলোচনা

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

শুধু ছবির নামই নয়, বিষয়বস্তু এবং শক্তিশালী যৌন দৃশ্যের কারণে কৌশিক মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গান্ডু’ আজ বহুল আলোচিত৷ ভারতের মিডিয়া আর নিন্দুকরা যাই বলুক না কেন, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে কিন্তু ‘কিস্তিমাৎ’ করেছে এ ছবি৷

https://p.dw.com/p/10JXg
গান্ডু’র একটি দৃশ্যছবি: Internationale Filmfestspiele Berlin

জার্মান দর্শক এবং চলচ্চিত্র সমালোচকরা ইতিমধ্যেই বেশ পছন্দ করেছে ‘গান্ডু'৷ এখানকার মিডিয়াগুলিতেও ছবিটি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদনই প্রকাশ পেয়েছে৷ ‘গান্ডু'কে একটি আসাধারণ ‘সিনেম্যাটিক এক্সপিরিয়েন্স' বলে মন্তব্য করেছে জার্মান পত্রিকা ‘ডেয়ার স্পিগেল'৷ এছাড়া, ছবিতে আগাগোড়া সাদা-কালো রঙের ব্যবহার, ক্যামেরা, গল্পের বাঁধুনি এবং তার গভীর মনস্তাত্ত্বিক ব্যঞ্জনার জন্য তরুণ পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায়'এর গুণগান গাইছেন অনেকে৷

অথচ মহানগরী কলকাতার হাওড়া ব্রিজ'এর অদূরে বসবাসকারী একটি সাধারণ ছেলের গল্পকেই নিজের ক্যামেরাতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক৷ বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনো এক রিক্সাওয়ালার সঙ্গে বন্ধুত্ব গল্পের নায়ককে কীভাবে ধীরে ধীরে অন্ধকারের পথে টেনে নিয়ে যায় – তারই একটা ধারাবর্ণনা যেন এ কাহিনি৷ তাই মায়ের প্রেমিকের পকেট কেটে নেশা করা, অভদ্র ভাষায় কথা বলা অথবা বারংবার অশ্লীল যৌন ছবি দেখা – কোনোটাকেই আর চাপিয়ে দেয়া মনে হয় না৷

ছবির সবকটি চরিত্র অবশ্য শেষ পর্যন্ত এমন একটি মোড়ে এসে পৌঁছোয়, যেখানে এগোনোর আর কোনো পথ থাকে না৷ থাকে না কোনো বিকল্প৷ আর সেখানেই সকলের মন জিতে নেয় ‘গান্ডু'৷ নিজেকে ‘কিউ' বলে পরিচিত করিয়ে পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় জানান, এর মাধ্যমে শুধু কলকাতার নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং মানসিক স্তরে ভারতের যুব সমাজের হতাশাকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি৷ ভাঙতে চেয়েছেন ‘সেক্স' নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যকার চিরচারিত‘ট্যাবু'৷ ‘কিউ'এর কথায়, আর পাঁচটা মানুষের মতো ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ‘সেক্স' নিয়ে আগ্রহ খুব স্বাভাবিক৷ তাই তাকে দমিয়ে না রেখে বা বাচ্চা বলে তাদের জোর করে যৌন শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে না রেখে - তার মুখোমুখী করাই জরুরি৷

বার্লিনে বিশ্বখ্যাত এই চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ভারতের কোনো ছবি না থাকলেও, ভারতীয় সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে প্যানোরমা, ফোরাম এবং নতুন প্রজন্মের জন্য বিশেষ প্রতিযোগিতা ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস আয়োজনে৷ আর কৌশিক মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘গান্ডু' স্থান পেয়েছে ঐ প্যানোরমা সেকশনে৷ তিনি তো বটেই, ‘গান্ডু'র হাত ধরে উৎসবে যোগ দিয়েছেন ছবির নায়ক জয়রাজ ভট্টাচার্য এবং নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত'ও৷

উল্লেখ্য, ৬১তম বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মার্কিন অভিনেত্রী ইসাবেলা রসেলিনি৷ এছাড়া, প্রতিযোগিতায় অন্যতম জুরি সদস্য হিসেবে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা আমির খান৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক