বাম শাসিত রাজ্যে হরতাল সফল, অন্যান্য রাজ্যে আংশিক সাড়া
৭ সেপ্টেম্বর ২০১০বাম-শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও ত্রিপুরায় হরতালে স্বাভাবিক জনজীবন অচল৷ রাস্তাঘাট জনশূন্য৷ দোকানপাট,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ৷ বিমান , বাস, ট্যাক্সি, অটো রিক্সা চলেনি৷ কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকরা কাজে যাননি৷ হরতালের প্রভাব বেশি পড়ে ব্যাঙ্ক, বীমা, সড়ক পরিবহন, কয়লা, টেলিকম ও নির্মাণ শিল্পে৷ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি কর্মী হরতালে সামিল হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা৷ কলকাতা ও অন্য শহর মিলিয়ে মোট ১৭০টি উড়ান বাতিল করতে হয়৷ অবশ্য ট্রেন ও মেট্রো ট্রেনকে হরতালের বাইরে রাখা হয়৷ কলকাতা ও তার আশপাশে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে কিছু মারপিটের ঘটনা ঘটে৷ তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের এলাকায় জোর করে দোকান খুলতে গেলে এই সংঘর্ষ বাঁধে৷ কেরালা ও ত্রিপুরাতেও ধর্মঘটের ছবিটা একই রকম৷ রাজধানী দিল্লিতে, কিছু ব্যাঙ্ক ও বীমা অফিস বন্ধ ছিল৷ কর্মীরা কাজে যোগ দেননি৷ রাস্তায় অটোরিক্সা চলেনি৷ তবে বিমান পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক ছিল৷ দিল্লি ও হরিয়ানার কলকারখানায় কর্মীদের হাজিরা অবশ্য বেশ কম ছিল৷ তামিলনাডুতে হরতালের প্রভাব তেমন পড়েনি৷ অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বই'এ ট্যাক্সি ও অটো চলেনি৷ কাজকর্ম মোটের ওপর ছিল স্বাভাবিক৷
নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ গুরুদাস দাসগুপ্ত ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ধর্মঘটের সাফল্য বেনজির৷ হরতালে গরিবদের কতটুকু উপকার হচ্ছে, একথায় তাঁর উত্তর, মূদ্রাস্ফীতির ফলে গরিবদের দুবেলা ভাত জুটছে না৷ সরকার অন্তত শিক্ষা নেবে এ থেকে৷ পঃ বঙ্গের প্রবীণ সাংবাদিক ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডয়েচে ভেলের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বললেন, পাবলিক মনে করে, ধর্মঘট একটা অকেজো, ভোঁতা যন্ত্র৷ হরতাল ডেকে দেশের কোন উপকার হয়না৷ ধর্মঘটকে আজ আর সাধারণ মানুষ সমর্থন করেনা, তা সে যে উদ্দেশ্যেই ডাকা হোক না কেন৷ হরতাল পালন করে ভয়ে৷ সমর্থন করে তাঁরা, যাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে৷
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হরতাল ডেকেছিল বিজেপি ও বামদল৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন