1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাণিজ্য বাড়াতে ভারতের প্রতি আহ্বান ক্যামেরনের

২৯ জুলাই ২০১০

ভারত সফররত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আজ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ মনমোহন সিং’এর সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/OXWB
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনছবি: AP

পাকিস্তান নিয়ে গতকাল যে মন্তব্য তিনি করেছিলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ক্যামেরন৷

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এশিয়ার কোনো দেশে ডেভিড ক্যামেরনের এটাই প্রথম সফর৷ তাঁর সফরসঙ্গী ৯০ জনের একটি বিশাল দল৷ এত বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে এর আগে কোনো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়েছিলেন কি না, তা মনে করতে পারছেন না কেউ৷ মন্দা কাটিয়ে অর্থনীতি গতিশীল করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্যামেরন৷ তাই তাঁর ভারত সফরে মূল আলোচনা হচ্ছে বাণিজ্য নিয়েই৷

সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবারই ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্যামেরন৷ এতে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়৷ এরপর ব্যবসায়ীদের দেওয়া একটি সংবর্ধনা সভায় অংশ নেন তিনি৷

মনমোহনের সঙ্গে বৈঠকে ক্যামেরন বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্প্রীতির বন্ধন বহুকালের৷ তবে আমার মনে হয়, তা আরো দৃঢ় ও গভীর করতে হবে৷'' এরপরই তিনি চলে যান বাণিজ্যের প্রসঙ্গে৷ বলেন, ‘‘বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুদেশের সম্পর্ক আরো গাঢ় করার দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে৷ আর তা আমাদের সম্পর্কের ভিতকে আরো মজবুত করবে৷ উপকৃত হবে উভয় দেশের জনগণ৷'' এছাড়া নিরাপত্তা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময়ও স্থান পায় দুই নেতার আলোচনায়৷ দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়ে দুই দেশের একটি চুক্তিও সই হয়৷ এর একদিন আগেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি চুক্তির ঘোষণা আসে৷ তার আওতায় যুক্তরাজ্য প্রায় ৮০ কোটি ডলার দেবে ভারতকে৷ যে অর্থ ব্যয় হবে ৫৭টি প্রশিক্ষণ বিমান কেনায়৷ ক্যামেরন বলেন, তিনি এমন একটি যুক্তরাজ্য গড়তে চান, যাকে অংশীদার হিসেবে নিতে আগ্রহী হবে ভারত৷

বুধবার ভারতে পা রেখেই অবশ্য এমন একটি মন্তব্য ক্যামেরন করেছিলেন, যা ক্ষুব্ধ করে পাকিস্তানকে৷ তিনি বলেছিলেন, অন্য দেশে সন্ত্রাস পাচার পাকিস্তানকে বন্ধ করতে হবে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ওয়াজিদ শামসুল আলম বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ‘আঞ্চলিক শান্তির সম্ভাবনা'কে ক্ষতিগ্রস্ত করছে৷' প্রতিক্রিয়া আসার পর অবশ্য সুর কিছুটা নরম করেছেন ক্যামেরন৷ তিনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাঁর ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের পদক্ষেপ আরো জোরদার করতে হবে৷ ক্যামেরন বলেন, ‘‘পাকিস্তান সরকার সন্ত্রাস দমনে আন্তরিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছে বলে আমি বিশ্বাস করি৷ পাকিস্তানে সন্ত্রাসের বিস্তার যেমন তাদের দেশের জন্য হুমকি, তেমনি অন্য দেশের জন্যও৷ তাই আমি বলতে চেয়েছি, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান সরকারের তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে৷ আর এটা পাকিস্তানের জনগণেরও প্রত্যাশা৷''

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন