বাজেটকে গণমুখী বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১২ জুন ২০১০প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটকে গণমুখী বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি উচ্চাভিলাষী বাজেট নয়৷ বাংলাদেশের মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে, এটাই তাঁর সরকারের উচ্চাভিলাষ৷ প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷ দৈনিক সমকাল, যায়যায়দিন, ইত্তেফাক, ডেইলি স্টারসহ প্রায় সব পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে এই খবরটি৷ এতে বলা হচ্ছে, প্রস্তাবিত বাজেটকে 'অতি উচ্চাভিলাষী বাজেট' আখ্যায়িত করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বক্তব্যের জবাবেই এসব কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বিকেল থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দলের নেতারা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে সমবেত হন৷ প্রথমেই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তাঁকে৷ এরপর একে একে সমবেত অন্যরাও ফুলের তোড়া তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে৷
দুই সন্তানসহ গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের একটি বাসায় ঘটেছে দুই সন্তানসহ মা'র আত্মহননের ঘটনা৷ শুক্রবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে৷ দৈনিক প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, সমকাল, জনকণ্ঠ, নিউ এইজসহ প্রায় সব পত্রিকার প্রথম পাতায় জায়গা করে নিয়েছে এই মর্মস্পর্শী ঘটনার খবর৷ খবরে বলা হচ্ছে, এ ঘটনার শিকার তিনজন হলেন গৃহবধূ রিতা, ছেলে পাবন ও মেয়ে পায়েল৷ ঘরের দেয়ালে দেখা গেছে শিশু পাবন ও পায়েলের লেখা অনেক ক্ষোভ ও দুঃখের কথা৷ আবেগী কথার প্রতিটি লাইনে পিতৃকুলের ওপর চরম ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে পাবন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে৷ তবে হত্যার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, পাবন ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল৷ পায়েল পঞ্চম শ্রেণীর৷ পাবন ও পায়েলের বাবার নাম রাশেদুল কবির৷ রাশেদুলের বাবা দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল কবির৷ শফিকুল কবিরের দাবি, তাঁর পুত্রবধূ রিতা চার বছর ধরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দুই সন্তানকে মেরে ফেলে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷''
ঢাকায় দুই বাংলার রবীন্দ্রপ্রেমীদের সম্মেলন
'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে/এ জীবন পূর্ণ করো' - দুই বাংলার শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গাইলেন মিলনায়তনের অতিথি ও দর্শকরা৷ ঠিক যেমনটি একটু আগেই সবাই গাইছিলেন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ও জন গণ মন... জয় হে' - রবিঠাকুরের লেখা দুই বাংলার জাতীয় সঙ্গীত৷ এই গানের সঙ্গেই ছন্দ মিলিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনব্যাপী রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে 'বিশ্বে বাঙালি' শীর্ষক উৎসবের উদ্বোধন করলেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী৷ সীমান্ত দিয়ে আলাদা করা হলেও বাঙালি জাতির একক পরিচয় বহনের এই সম্মেলনের খবরটি বিশেষ স্থান পেয়েছে দৈনিক যায়যায়দিন, ইত্তেফাকসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায়৷ খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি শিল্পীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণ৷ দুই পর্বে বিভক্ত এই উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ভারতের মোহন সিং, লোপামুদ্রা মিত্র, সুপ্রতিক দাস, তিথি দেব বর্মণ, নিলঞ্জনা সেন, দেবশ্রী মুখার্জী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ মুখোপাধ্যায়, গোরা চাঁদ রাম ও আবির সিং৷ শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর দল নৃত্যনন্দনের নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে প্রথম পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল৷ আর আলোকের এই ঝর্না ধারায় ধুইয়ে দাও - মিতা হকের কণ্ঠে পরিবেশিত এই গানটি দিয়েই সূচনা হয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের৷
গ্রন্থনা: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী