1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাগবোর সঙ্গে আলোচনা হলো তিন প্রেসিডেন্টের, আবারও হবে

২৯ ডিসেম্বর ২০১০

বেনিন, সিয়েরা লিওন ও কেপ ভের্ডে – পশ্চিম আফ্রিকার এই তিন দেশের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার কথা বললেন আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করা লরাঁ বাগবো ও আলাসানে ওয়াতারার সঙ্গে৷

https://p.dw.com/p/zqw2
আইভরি কোস্টে বেনিনের প্রেসিডেন্টছবি: AP

আঞ্চলিক সংস্থা ‘ইকোওয়াস' এর প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন৷ মূল উদ্দেশ্য ছিল, বাগবোকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বলা৷ উল্লেখ্য, ইকোওয়াস ইতিমধ্যে ওয়াতারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সমর্থন দিয়েছে৷ আর বাগবো যদি ক্ষমতা না ছাড়ে তাহলে প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়েছে৷

সফর শেষে কেপ ভের্ডের প্রেসিডেন্ট পেড্রো পিরে বলেছেন আবারও আলোচনা হবে৷ এবং সেটা জানুয়ারির দুই তারিখে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাগবো সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কিন্তু কেপ ভের্ডের প্রেসিডেন্ট বলছেন, নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন পরবর্তী আলোচনার তারিখ ঠিক করবেন৷ কারণ ইকোওয়াসের বর্তমান সভাপতি দেশ নাইজিরিয়া৷

এদিকে বাগবো আর ওয়াতারার সঙ্গে আলোচনা করার পর ঐ তিন প্রেসিডেন্ট বিস্তারিত জানাতে নাইজিরিয়া গেছেন৷

বাগবো'র সঙ্গে আলোচনার পর বেনিনের প্রেসিডেন্ট শুধু একটাই মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেছেন, সবকিছু ভাল হয়েছে৷ তবে আলোচনা শেষে বাগবোকে হাসিখুশি দেখা গেছে৷

বাগবোর সঙ্গে কথা বলার পর ঐ তিন প্রেসিডেন্ট ওয়াতারার সঙ্গেও বৈঠক করেন৷ বৈঠক শেষে ওয়াতারার মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন যে, তিন প্রেসিডেন্ট বাগবোকে তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলেছেন৷ এছাড়া তাঁরা বাগবোকে বলেন, ওয়াতারা যে প্রেসিডেন্ট এটা নিয়ে কোনো আলোচনা করার কিছু নেই৷ বরং আলোচনা এটা হতে পারে যে, বাগবো কীভাবে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে৷

আইভির কোস্টে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ভাল নেই৷ মঙ্গলবার তাদের তিনটি গাড়ি ঘিরে ধরেছিল বাগবোর সমর্থকরা৷ এরপর একটা গাড়ি পুড়িয়ে দেয়৷ আর এক সেনাকে লাঠি দিয়ে মেরে তার হাত ভেঙে ফেলেছে৷

এদিকে কয়েকদিন শান্ত থাকার পর রাজধানী আবিদজানে মঙ্গলবার সকালে ওয়াতারার সমর্থকদের এলাকায় গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে৷ কয়েকজন যুবক টায়ারে আগুন ধরিয়ে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করেছে বলে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই