1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করছি: অমি পিয়াল

১১ এপ্রিল ২০১১

বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে ৪০ বছর আগে৷ বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা, এই অর্জন বিশ্বের বুকে বিপ্লবের এক জলন্ত উদাহরণ৷ তবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এখনো কিছু বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা রয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/10rBw

বিশেষ করে একাত্তরে যেই দেশদ্রোহীরা নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যায় সহায়তা করেছিল, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের সঙ্গে ছিল, সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ এখনো শেষ হয়নি৷ বাংলা ব্লগ আঙিনায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে মানুষটি নিরলস সংগ্রাম করে চলেছেন, তিনি অমি রহমান পিয়াল৷ তাঁর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎকারের অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো এখানে৷

ডয়চে ভেলে: আপনিতো ইন্টারনেটে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে লিখে চলেছেন, বর্তমান সমাজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আপনার লেখনি কি ধরণের প্রভাব ফেলছে?

অমি রহমান পিয়াল: গত নির্বাচনে তার খানিকটা প্রভাব আমরা দেখেছি৷ তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশই এই ইস্যুতে এগিয়ে এসেছিল এবং নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছিল৷ তবে আমাদের সাফল্যের দিকটা সেভাবে বোঝা যেত না৷ ব্লগে লেখালেখিতে মন্তব্য পেতাম৷

তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, তাদের কাছে আমাদের লেখাগুলো পৌঁছে যেতে পারছে৷ এটা একটা বড় ধরনের অর্জন মনে করি আমি৷

ডয়চে ভেলে: আপনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক কমিউনিটি ব্লগে লিখেছেন৷ যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে আপনার যেমন লেখা রয়েছে, তেমনি আরো অনেক সামাজিক এবং ব্যক্তিগত বিষয়েও ব্লগ পোস্ট করেছেন আপনি৷ তো, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়নি৷ এর কারণটা আসলে কি?

অমি রহমান পিয়াল: চারটা ভাগে বলা যেতে পারে৷ প্রথম দিকে ছিল যে, স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার৷ তখন দেশটা একইসাথে বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ তখন পুরো ব্যাপারটাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল ছিল৷ সেজন্য অনেকক্ষেত্রেই আপোষ করতে হয়েছে৷ অনেক পাকিস্তানিকে ছেড়ে দিতে হয়েছিল মুজিবকে৷ কেননা, আমাদের প্রায় দুই লক্ষ আটকেপড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার জন্য৷ তাঁকে হত্যা করার পর যেটা হলো যে, আমাদেরকে কয়েক বছর সামরিক শাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷ এসময়টা ছিল আসলে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুর্নবাসন৷

আমাদের শ্রদ্ধেয় শহীদ জননী জাহানারা ইমাম যখন শুরু করলেন বিচারের আন্দোলনটা, তখনও কিন্তু বিএনপি সরকার জামায়াতদের ব্যাক করে গেছে৷ আমরা আশা করেছিলাম, ৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলো তখন আমরা কিছুটা হয়ত সুবিধা পাবো৷ কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি৷ এরপর আবার বিএনপি৷ তারপর গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম৷ আসলে সেটাই ছিল, আমাদের ইন্টারনেট লেখালেখির স্বর্ণযুগ৷

এরপর তরুণ প্রজন্ম যখন এই আন্দোলনের ইস্যুটাকে গ্রহণ করল, তখন আওয়ামী লীগ এটাকে নির্বাচনি মেন্যুফেস্টুতে নিয়ে আসলো৷ এখন তারা বিচারের কাজ শুরু করেছে৷ এটা আমরা একটা অর্জন মনে করি৷

ডয়চে ভেলে: আপনার কি মনে হয় সরকারের নীতিনির্ধারকরা ব্লগে আপনাদের লেখোলেখিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কিংবা মানুষের চাহিদা বা দাবিগুলো সরকার ব্লগ থেকেও জানছে?

অমি রহমান পিয়াল: নিশ্চয়ই, এব্যাপারে এইচ টি ইমাম আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন৷

ডয়চে ভেলে: আপনার বাংলা ব্লগটি ডয়চে ভেলের সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতার বেস্ট সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম ক্যাম্পেইন বিভাগে লড়াই করছে৷ যে ব্লগ ঠিকানাটি ববস'এর ওয়েবসাইটে রয়েছে, সেটি হচ্ছে : অমিপিয়াল ডট আমারব্লগ ডটকম৷ বিশ্বের আরো দশটি ভাষার ব্লগের সঙ্গে লড়ছে আপনার ব্লগটি৷ আপনি সম্ভবত জানেন যে, এই প্রতিযোগিতায় দু'ভাবে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়৷ একটি হচ্ছে ইউজার প্রাইজ, অন্যটি জুরি অ্যওয়ার্ড৷ ইউজার প্রাইজে জিততে হলে প্রচুর অনলাইন ভোটের দরকার হয়৷ তো আপনি আপনার ভোটারদের উদ্দেশ্যে কিছু কি বলতে চাইবেন ?

অমি রহমান পিয়াল: এখানে দুটে জিনিস৷ এক হচ্ছে, আমি বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করছি৷ বাংলা ভাষায় লেখালেখির জন্য, বাংলা ভাষার সম্মানের জন্য৷ দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, আমার ইস্যুটা৷ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ পুরস্কার পাওয়া না পাওয়ায় আমার এই আন্দোলনটা থেমে যাবে না৷ তবে উৎসাহ নিশ্চয়ই পাবো৷

অমি রহমান পিয়ালকে ভোট দিতে ভিজিট করুন thebobs.com ওয়েবসাইট৷ এরপর ‘ইন দ্য ক্যাটেগরি' বিভাগে বেছে নিন বেস্ট সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজম ক্যাম্পেইন এবং ‘আই ভোট ফর' ঘরে বাছাই করুন অমি পিয়াল'এর ব্লগ৷ ঠিকঠাক বাছাইয়ের পর চেপে দিন ভোট বোতামটি৷

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান