বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চালু হতে যাচ্ছে বর্ডার হাট
২১ অক্টোবর ২০১০বর্ডার হাট নিয়ে সীমান্ত এলাকা ছাড়াও সারাদেশের মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় ৭৫ বর্গমিটার এলাকাকে বেড়া দিয়ে ঘিরে বর্ডার হাট চালু হবে৷ বংলাদেশের কুড়িগ্রাম ও সুনামগঞ্জ এবং ভারতের মেঘালয় সীমান্তে ২টি জায়গায় প্রথম বর্ডার হাট চালু হতে পারে৷ বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা এই বর্ডার হাট অনুমোদন দিয়েছে৷
তাঁর ভারত সফরে বর্ডার হাট নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আর হাট চালু হতে পারে ডিসেম্বরে৷ দুই দেশের নির্ধারিত কিছু পণ্য হাটে পাওয়া যাবে৷ পণ্যের সংখ্যা এখন ৩৫টি হলেও চাহিদার দিকে খেয়াল রেখে তা বাড়বে৷ নাগরিকরা কোন পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখিয়ে বর্ডার হাটে প্রবেশ করতে পারবেন৷ হাটের নিরাপত্তায় থাকবে বিডিআর এবং বিএসএফ৷
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বর্ডার হাট চালু হলে চোরাচালান কমে আসবে৷ তিনি বলেন, সপ্তাহের প্রতি শনিবার এই বর্ডার হাট মনিটরিং এবং নিয়ন্ত্রণ করবে দু'দেশের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একটি কমিটি৷ তাঁরা পণ্যের তালিকা বাড়াতে কমাতে পারবেন৷
ফারুক খান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতেই এই বর্ডার হাট৷ এনিয়ে রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই৷ তিনি বিরোধী দলকে বিষয়টি রাজনীতির বাইরে রাখার আহ্বান জানান৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন