বাংলাদেশ ভারতকে তড়িঘড়ি করে ট্রানজিট দিতে চায়না
৯ আগস্ট ২০১০সেখানে তিনি ভারতের সঙ্গে ঋণ সহায়তা চুক্তি ও তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি সহ নানান বিষয়ে কথা বলেন৷ কালের কন্ঠের খবর অনুযায়ী, ১০০ কোটি ডলার ঋণের অর্থ কীভাবে খরচ করা হবে তা বাংলাদেশ ঠিক করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এছাড়া এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই বলেও জানান তিনি৷ দৈনিক সমকাল এই সংবাদ সম্মেলনটিকেই তাদের প্রধান প্রতিবেদন করেছে৷ যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত বলা হয়েছে, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আগামী বছরেই একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হবে৷ তবে প্রথম আলো এই সফর নিয়ে একটা অন্যরকম খবর দিয়েছে৷ তারা বলছে, বাংলাদেশ নাকি ভারতকে তড়িঘড়ি করে ট্রানজিট দিতে চায়না৷ এবং প্রণব মুখার্জিকে নাকি এ বিষয়টি জানানো হয়েছে৷ কী কারণে বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্ত তা বিস্তারিত জানিয়েছে পত্রিকাটি৷ এদিকে দৈনিক সমকাল এই সফর নিয়ে ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় কী লেখা হয়েছে, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে৷ সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, আনন্দবাজার পত্রিকা নাকি লিখেছে যে, প্রণব মুখার্জি এই সফরে দিল্লির ওপর ঢাকার যে ‘রাগ' ছিল তা মুছে দিয়েছেন৷
বিদ্যুৎখাত সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী৷ সে কারণে গতকাল তিনি ঐ মন্ত্রণালয়ে যান অফিস করতে৷ সেখানে রমজান মাসে গ্রাহকদের দুর্ভোগ কমাতে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন৷ বিশেষ করে মুসল্লিদের যেন দুর্ভোগ কম হয় সেজন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি৷ এসব খবরই দিচ্ছে পত্রিকাগুলো৷ দৈনিক ইত্তেফাক এই বৈঠক নিয়ে প্রধান প্রতিবেদন করেছে৷ জ্বালানী বিভাগের কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে ঐ প্রতিবেদনে৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের গুরুত্বের কারণে ডেইলি স্টারেরও প্রধান প্রতিবেদন এটি৷ তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনে টেন্ডার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার যে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে ডেইলি স্টার৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়