‘বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে নারীরাই ক্ষমতায় আছেন’ | পাঠক ভাবনা | DW | 13.05.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে নারীরাই ক্ষমতায় আছেন’

‘নারী স্বাধীনতা ও প্রগতির জন্য ১০ দফা দাবি পেশ’ পড়লাম৷ ২০১৩ সালে এসে যে আজও আমাদের নারীদের অধিকার নিয়ে ভাবতে হচ্ছে, তা সত্যিই হতাশাজনক৷ বাংলাদেশে ১৯৯০ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমরা কিন্তু নারী নেতৃত্বের ওপরই চলেছি!

১৯৯০ সালের পর থেকে যে ক'বারই নির্বাচন হয়েছে প্রতিবারই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একজন নারী৷ তারপরেও বারবার আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি৷ যেখানে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে আছেন একজন নারী, সেখানে বারে বারে কেন এমন প্রশ্ন আসে? আর যে ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে – এই ব্যাপারটা বুঝলাম না৷ নারীর ক্ষমতায়নের সাথে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার কি হলো? এছাড়া, নারী উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়ন পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা – এইসব ঠিক আছে৷

অ্যালার্জি সম্পর্কে আমার মতামত, বাংলাদেশে যে অ্যালার্জি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় তা হলো রাজনৈতিক হিংসার অ্যালার্জি৷ এখানে ভিন্নমতের কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না আর এটি শুধু রাজনীতিকদের বেলাতেই ঘটে না৷ এটি সাধারণ লোকদের বেলায়ও ঘটে৷

অটিজম – অসুখ না চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য? আমার মনে হয়, অটিস্ট শিশুদের নিয়ে নামকা-ওয়াস্তে প্রতি বছরের ২রা এপ্রিল বিশ্বব্যাপী অটিজম সচেতনতা দিবস পালন করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশেও অটিস্ট শিশু রয়েছে প্রচুর৷ এদেরকে অবহেলা করার তো কোনো অবকাশই নেই৷ বরং আমাদের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে অটিস্ট শিশুরা অন্য স্বাভাবিক যে কোনো শিশুদের মতো জীবন পেতে পারে৷ মিনহাজ আহমেদ কয়েকটি ই-মেলে ঢাকা থেকে এভাবেই তাঁর মতামত জানিয়েছেন৷

আমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ আশা করছি সবাই ভালো আছেন৷ আমি এবং ক্লাবের সবাই ভালো আছি৷ চকলেট নিয়ে ছবিঘরটি চকলেটের মতোই মজাদার৷ নানা তথ্যে ভরপুর৷

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন পড়লাম৷ ভালো লাগলো৷ আমার মনে হয়, বিভিন্ন মিডিয়া থেকে আপনরা এই প্রতিবেনগুলো সংগ্রহ করছেন৷ এক্ষেত্রে, আপনাদের একজন প্রতিনিধি যদি বাংলাদেশে থাকতো তাহলে কি ভালো হতো না? আমার জন্য পাঠানো এলটা রেডিও এখনও পাইনি৷ ঢাকা সেনানিবাস থেকে লিখেছেন সোহেল রানা৷

- ভাই সোহেল রানা, আমাদের বিশ্বাস আপনি জানেন ঢাকায় আমাদের দু'জন প্রতিনিধি রয়েছেন আর তাঁরাই নিয়মিত ঢাকা থেকে প্রতিদিন আমাদের কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন৷ আপনার এবং আপনার ভাবীর জন্য রেডিও পুরস্কার অনেক আগেই পাঠানো হয়েছে৷ আপনারা না পেলে আমাদের আর কিছুই করার থাকেনা ৷ আপনি নিজেই জানিয়েছেন ‘আইপড'-টি আপনি বেশ কিছুদিন আগেই হাতে পেয়েছেন৷

‘ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ দিন পর রেশমাকে জীবিত উদ্ধার' – সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়া আবারও প্রমাণ হলো – ‘রাখে আল্লাহ, মারে কে?'৷ সৃষ্টিকর্তা মাঝে মাঝেই তাঁর সৃষ্টির রহস্য মানুষের মাঝে উপস্থাপন করেন তা থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য৷ যে কোনোভাবেই হোক না কেন রেশমা জীবিত আছেন, এটাই এখন সবার আলোচ্য বিষয়৷ ১৭তম দিন সাভাররে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকেও জীবন্ত এবং পুরোপুরি সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে রশেমা (২২) নামের এক পোশাক শ্রমকিকে৷ এই ঘটনায় উদ্ধারর্কমীসহ পুরো দেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছেন, হয়েছেন আনন্দিত৷ আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ যে, এই জাতীয় দুর্যোগের সময় মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছেন তিনি৷ আমরা রেশমাকে উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকর্মীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই এবং রেশমার দ্রুত আরোগ্য হওয়া কামনা করছি৷ মো. ওবায়দুল্লাহ পিন্টু,আমলা, মিরপুর, কুষ্টিয়া৷

বিখ্যাত সব সাহিত্যিকদের লেখা বইকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের চিন্তাধারার বিরোধী এবং ‘অ-জার্মান' দাবি করে নাত্সীদের দ্বারা সংঘটিত ১০ই মে ১৯৯৩-এর বই পোড়ানোর ঘটনা নিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনা প্রতিবেদনটি পড়লাম৷ এর থেকে জার্মানির ইতিহাসের না জানা ঘটনার একটি দিক সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ খুবই সুন্দরভাবে এবং বিস্তারিতভাবে ঘটনাটিকে পরিবেশন করা হয়েছে৷ বার্লিনের অপেরা স্কোয়ার চত্বরে সংঘটিত সেই ঘৃণ্য ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার শপথ বর্তমান প্রজন্মের জার্মানদেরই নিতে হবে৷ স্মরণ করতে হবে জার্মান-ইহুদি কবি হাইনরিশ হাইনের কথা – ‘হোয়্যার বুকস আর বার্নড, হিউম্যানবিংগস

আর ডেসটিন্ড টু বি বার্নড টু'৷ লিখেছেন সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি৷

- মতামতের জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন