1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে ১৭৫ বছর ধরে যাঁরা ‘অন্যায়ের' শিকার

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তখন ছিল ব্রিটিশ শাসন৷ সেই শাসকরা তাঁদের কাজে লাগিয়েছিল ‘ক্রীতদাস' হিসেবে৷ ব্রিটিশ শাসন গেছে, পাকিস্তানি শাসন গেছে, স্বাধীন বাংলাদেশেও ৪৫ বছর পার করেছেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁদের দুর্বিষহ জীবনের চালচিত্র এতদিনে একটুও বদলায়নি৷

https://p.dw.com/p/2Qjq5
বাংলাদেশের চা-শ্রমিক
ছবি: Khukon Thaunaujam

তাঁরা বাংলাদেশের চা শ্রমিক৷ ১৭৫ বছর আগে তাঁদের পূর্ব পুরুষদের তখনকার ভারতবর্ষের বিহার, ওড়িষা এবং উত্তর প্রদেশ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, কাজ করলে দারিদ্র্য ঘুচবে৷ জীবিকার প্রয়োজনে, সরল বিশ্বাসে পাহাড়ি এলাকায় এসে তখনই শুরু করেছিলেন বৃক্ষরোপণ, বৃক্ষ পরিচর্যার কাজ৷ তাঁদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের বিন্দু বিন্দু ঘাম আর রক্তেই গড়ে উঠেছে আজকের বাংলাদেশের চা শিল্প৷

প্রতিদিন অন্তত এক কাপ চা না হলে অনেকেরই জীবন যেন অপূর্ণ থেকে যায়৷ তা চা যাঁদের প্রিয় পানীয়, তাঁরা কি জানেন যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই চা, তাঁরা কেমন আছেন? জানতে হলে এই ভিডিওটি দেখুন...

 

ভিডিওতে দু'জন শ্রমিক শুধু নিজেদের জীবনের বঞ্চনার কথাই বলেছেন৷ ১৭৫ বছরের বঞ্চনার খুব সামান্যই বলতে পেরেছেন তাঁরা৷ যা বলেছেন তার সবই পুরোনো কথা৷ ১৭৫ বছর ধরে একই জায়গায় থাকা, অথচ জায়গার ওপর কোনো অধিকার নেই তাঁদের৷ হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর এক দিনে মজুরি পান মাত্র ৮৫ টাকা৷ কোনো কোনো শ্রমিকের পরিবারে আছে ১০ জন সদস্য৷ ৮৫ টাকায় কি সেই সংসার চালানো সম্ভব? এক শ্রমিক জানালেন, সবাই প্রতিদিন এক মুঠো করে ভাতও খেতে পারেন না৷ স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সবাই অপুষ্টিতে ভোগে৷ শিশুরা পায়না যথাযথ শিক্ষার সুযোগ৷ নারী পায় না পর্যাপ্ত মাতৃত্বকালীন ছুটি৷ ডেইলি স্টারের প্রতিবেদককে দেয়া সাক্ষাৎকারে চা শ্রমিকরা তথ্য দিয়েই জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্প থেকে শুরু করে অন্যান্য সব শিল্পের শ্রমিকের যেটুকু অধিকার আছে, চা শ্রমিকদের তা-ও নেই৷ বাংলাদেশেদের জীবন এখনো যেন আদি যুগের ক্রীতাদাসদের মতো৷

এসিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য