1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির শিকার হয়ে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ গত দু’সপ্তাহে বিভিন্ন ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/M0WZ
সরকার ছাত্র রাজনীতি নিয়ে চিন্তিতছবি: AP

সর্বশেষ শুক্রবার রাতে রাজধানীর মানিকদি এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ঢাকা মহানগর ক্যান্টনমেন্ট থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এবিএম ফারুক হোসেন৷

এ মাসের ২ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারান তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবু বকর সিদ্দীক৷ এরপর একে একে বিভিন্ন ঘটনায় চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে৷

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, ছাত্র রাজনীতিতে সংঘর্ষের মাত্রা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে৷ তিনি বলেন, এ ধরণের ঘটনা আর সহ্য করা যায় না৷

এদিকে সরকার ও ছাত্রলীগ বর্তমান পরিস্থিতির জন্য জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবিরকে দায়ী করেছেন৷ অন্যদিকে, শিবির সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর জন্য ছাত্রলীগ‌কে দায়ী করেছে৷

ইতিমধ্যে সরকারের নির্দেশে দেশব্যাপী শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে৷ তবে নিজ দলের কর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা হবে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন৷

Unruhen in Dhaka Bangladesh Demonstrant
ছাত্র রাজনীতির এই অবস্থা শেষ হবে কবেছবি: AP

এ পর্যন্ত পুলিশ রাজশাহী শহর জামায়াতের প্রধান আতাউর রহমানসহ কমপক্ষে ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন মু‌খপাত্র নওশের আলী৷ তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের সময় ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় নয়জন পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে৷

সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সাংসদরা ছাত্র রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একে অপরের ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করেন৷

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ঘটনার কারণে সংগঠনটির সম্মানিত চেয়্যারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক বলেছেন, ছাত্র রাজনীতি দূষিত হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, বর্তমান ঘটনাগুলো ছাত্র নেতাদের উস্কিয়ে দেয়া, যাদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়৷

প্রতিবেদনঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ অরুন শঙ্কর চৌধুরী