1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাসে ধর্ষণ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জে এক পোশাক শ্রমিককে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত৷ রায়টি দীর্ঘ একবছর পর দেয়া হলেও, এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি৷

https://p.dw.com/p/1B7tK
Gedenken Indien Gruppenvergewaltigung Mord 29.12.2013
ছবি: Reuters

গত বছরের ২৪শে জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ‘শুভযাত্রা পরিবহণের' বাসে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ সাভারের কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই গার্মেন্টসকর্মী৷ অন্য যাত্রীদের কৌশলে বাস থেকে নামিয়ে চলন্ত বাসে চালক ও সহকারী তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়৷ ধর্ষণের পর তাঁকে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়৷ স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে৷ এরপর মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়৷ এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে নিন্দা এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷

Proteste gegen Wahl in Bangladesh
বাসচালক দীপু মিয়া ও তার সহকারী কাশেম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছেছবি: Getty Images/Afp/Munir uz ZAMAN

ঐ দিন বিকেলে পুলিশ মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে চালক দীপু মিয়া এবং রাতে ঢাকার আশুলিয়ার নবীনগর থেকে চালকের সহকারী কাশেমকে গ্রেপ্তার করে৷ ধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক বাসের চালক দীপু ও সহকারী কাশেমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন৷ আসামি দীপু ও কাশেমকে আদালতে হাজির করা হলে তারা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়৷ পুলিশ চালক ও তার সহকারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়ার পর, আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণা করে৷

বৃহস্পতিবার রায়ে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোস্তাফা দেওয়ান বাসচালক দীপু মিয়া ও তার সহকারী কাশেম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে৷ মামলার আরেকটি ধারায় দীপুকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক৷ মামলার দুই আসামিই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল৷ তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে৷

আদালতে গার্মেন্টস কর্মীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি৷ রায় ঘোষণার পর সমিতির চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সালমা আলী ডয়চে ভেলের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় এই রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ তবে তাঁর কথায়, শুধু আদালতের রায় নয়, নারীদের নিরাপত্তায় সমাজ এবং রাষ্ট্রকে আরো এগিয়ে আসতে হবে৷

আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আহমেদ অবশ্য ন্যায় বিচার না পাওয়ার দাবি করে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা বলেছেন৷

এদিকে রায় ঘোষণার সময় গার্মেন্টস কর্মী বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না৷ মানিকগঞ্জের সাংবাদিক বিপ্লব চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে জানান, গার্মেন্টস কর্মীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে৷ তিনি এখন নতুন একটি পোশাক কারখানায় কাজ করছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য