বাংলাদেশে অ্যানথ্রাক্স পরিস্থিতির অবনতি
২৫ আগস্ট ২০১০রোগতত্ব বিভাগের পরিচালক জানিয়েছেন গরু থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে৷ তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই৷ তবে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস ও রক্ত থেকে দূরে থাকতে হবে৷ সরকারি হিসেবে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ১১২ জন৷ তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা দু‘শ ছাড়িয়ে যাবে৷ বুধবারও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও কামারখন্দ এলাকায় ২ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে৷ আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে৷ তারা গরুর মাংস কাটা বা ধোয়ার পর আক্রান্ত হয়েছেন৷
কেন্দ্রীয় রোগতত্ব বিভাগের পরিচালক ডা. মাহমুদুর রহমান ইতিমধ্যেই সিরাজঞ্জের অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ আক্রান্ত রোগী ছাড়াও আক্রান্ত হতে পারে – এমন লোকজনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷ তিনি জানান, গবাদি পশু – বিশেষ করে অসুস্থ গরুর শরীর থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে৷ এজন্য তিনি অসুস্থ গরুর মাংস না খাওয়া এবং রক্তের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ তিনি জানান, অ্যানথ্রাক্স পর্যবেক্ষণের জন্য সিরাজগঞ্জে অস্থায়ী ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে৷ তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই৷ এই রোগের পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রয়েছে৷
অন্যদিকে, পৌরসভার কর্মকর্তা ও ডাক্তারদের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জে গরু-ছাগল জবাইয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু বাস্তবে তা পালন করা হচ্ছে না৷
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই সচেতন না হলে এবং কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে অ্যানথ্রাক্স মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পাবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন