1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ ডিসেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা ‘আসক’৷ সংগঠনটি দেশে মানবাধিকার পরিস্থতির অবনতির জন্য প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেছে৷

https://p.dw.com/p/1AjQt
Proteste gegen Wahl in Bangladesh
ছবি: Reuters/Andrew Biraj

আসক মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হলে বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান হতে পারে৷

সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ৮৪৮টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে৷ যাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০৭ জন৷ আর আহত ২২,৪০৭ জন৷ নিহতদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ এবং দু'জন বিজিবি সদস্যও রয়েছেন৷

Proteste gegen Wahl in Bangladesh
আসন্ন নির্বাচনও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির একটি কারণ....ছবি: Reuters/Andrew Biraj

রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে পেট্রোল বোমা হামলায় আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন ৯৭ জনের মধ্যে ২৫ জন মারা গেছেন৷ সন্ত্রাসী তত্‍পরতায় নতুন সংযোজন গুম বা গুপ্ত হত্যা৷ ২০১৩ সালে এ ধরণের গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন ৫৩ জন৷ এছাড়া, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৭২ জন৷

আসক-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান, তারা মনে করেন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতার কারণে ২০১৩ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ঘটেছে৷ এর জন্য প্রধানত দায়ী সরকার ও বিরোধী দলীয় প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট৷ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে সহিংস রাজনীতির চর্চা শুরু করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷

কিন্তু তারা সহিংস হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নূর খান বলেন, জনগণের ওপর আস্থা না রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকা ও যাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ কারণ নির্বাচনকালীন সরকার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে ঐক্যমত না থাকায় কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না৷ চাইছে যে যার সুবিধা অনুযায়ী নির্বাচন করতে৷

নূর খান বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট যদি সমঝোতায় আসতে না পারে তাহলে বাংলাদেশে সশস্ত্র ধর্মীয় জঙ্গি এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উত্থান ঘটতে পারে৷ যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে টিকে থাকার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং সশস্ত্র রজনীতির দিকে মানুষের ঝুঁকে পড়ার যথেষ্ঠ কারণ আছে৷ তাদের কাছে আত্মরক্ষার জন্য এই পথকে আকর্ষণীয় মনে হতে পারে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তত্‍পর৷ আর তাদের সহায়তা দিতে বাইরের অপশক্তিও কাজ করছে৷

নূর খানের কথায়, রাজনৈতিক সহিংসতার যাঁরা শিকার হয়েছেন তাঁদের বড় একটি অংশ সাধারণ মানুষ৷ রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই৷ সহিংসতার শিকার হয়ে যাঁরা নিহত হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁদের রক্ষায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে৷ এমনকি যাঁরা বোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়েছেন, তাঁরাও ঠিকমতো চিকিত্‍সা সুবিধাও পাচ্ছেন না৷ শুধু তাই নয়, অনেকে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন৷ তাই সরকারের দায়িত্ব হলো তাঁদের নিরাপত্তা, চিকিত্‍সা এবং আবাসের ব্যবস্থা করা৷ তাছাড়া সহিংসতার শিকার পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন৷

নূর খান বলেন, এবার রাজনৈতিক সহিংসতা দেশের মানুষের মধ্যে নিরপত্তাহীনতা তৈরি করেছে৷ সৃষ্টি করেছে আতঙ্কের পরিবেশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য