1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতের টুইটার ভক্ত তিন লাখ!

২৯ জানুয়ারি ২০১১

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ক্যানাডিয়ান তরুণ শাওন আহমেদ৷ সম্প্রতি দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা পুরস্কারটি জিতেছেন শাওন৷ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে এক স্কুলের গল্প তুলে ধরে এই পুরস্কার পান তিনি৷

https://p.dw.com/p/106wE
শাওন আহমেদছবি: cc-uncultured-nc-sa 3.0

শাওনের বাবা-মা বাংলাদেশি৷ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর তারা চলে যান ক্যানাডায়৷ শাওনের বেড়ে ওঠা তাই ক্যানাডাতে৷ তবে ভাঙা ভাঙা বাংলাও বলতে পারেন তিনি৷ এই তরুণ সম্ভবত রক্তের টানেই ২০০৭ সালে ছুটে যান বাংলাদেশে৷ সাইক্লোন সিডর বিধ্বস্ত এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে ভিডিও করেন নানা করুণ দৃশ্যের৷ এরপর সেগুলো তুলে দেন, ইউটিউবে৷ উদ্দেশ্য, যদি এসব মানুষকে সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসে৷

বাংলাদেশের সিডর বিধ্বস্ত একটি স্কুলের ভিডিও চিত্র ইউটিউবে সাড়া ফেলে দেয়৷ সেই স্কুলটিকে নতুন করে গড়তে ভিডিও'র মাধ্যমে সাহায্য চান শাওন৷ এগিয়ে আসে ইন্টারনেট প্রজন্ম৷ তৈরি হয় স্কুল, শিক্ষার্থীরা আবার ফিরে আসে পড়াশোনায়৷ এভাবেই শিকড়ের সেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন শাওন৷

Screenshot der Seite uncultured.com Flash-Galerie
আনকালচারড ডটকমছবি: uncultured.com

শাওন তাঁর এই প্রকল্পের একটি নামও দিয়েছেন৷ ‘আনকালচারড প্রজেক্ট'৷ তাঁর কথায়, এটি কোন দাতব্য সংস্থা, সংগঠন কিংবা আনুষ্ঠানিক কোন প্রকল্প নয়৷ এটা একান্তই এক ব্যক্তিগত চেষ্টা, যা দিয়ে অন্যদের উৎসাহিত করা যায় যে, আমরা মানে বর্তমান প্রজন্ম চাইলে চরম দারিদ্র দূর করতে পারি৷

ইন্টারনেটে শাওনের এই চেষ্টা কিন্তু ব্যাপক সাড়া পেয়েছে৷ টুইটারে তাঁর ‘আনকালচারড' প্রকল্পের ভক্তের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ৷ ইউটিউবে তাঁর ভিডিও যেন হট কেক৷ স্কুলের শিশুদের নিয়ে তাঁর একটি ভিডিও ইউটিউবের ১৯টি ভাষার প্রথম পাতায় ফিচারড ভিডিও হিসেবে জায়গা করে নেয়৷ এছাড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেল আনকালচারড ডটটিভি'র গ্রাহকের সংখ্যা তিরাশি হাজার৷ প্রতিনিয়তই ভক্ত বা গ্রাহকের এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷

২৯ বছর বয়স্ক শাওন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ঢুঁ মারুন তাঁর ব্লগসাইটে৷ ঠিকানা: আনকালচারড ডটকম৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম