বাঁচার লড়াই: ‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবির নতুন পর্ব
‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ পর্যায়ের ছবিগুলি চিরকালই নরজাতি বা বানরজাতির অস্তিত্ব, আচারব্যবহার, নৈতিক মূল্যবোধ ইত্যাদি প্রসঙ্গ নিয়ে নানা অস্তিত্ববাদী প্রশ্ন তুলেছে৷ আবার অ্যাকশানও কমতি পড়েনি৷
সিকোয়েল নয়, প্রিকোয়েল
প্রথম ‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৮ সালে – হিট ছবি৷ তারপর বানরগ্রহ নিয়ে আরো সাতটি ছবি তৈরি হয়েছে৷ ‘ওয়ার ফর দ্য প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিটি বানরগ্রহের কাহিনির নবম পর্ব হলেও, ফিরেছে সূচনার ঘটনাবলীর প্রাক-ইতিহাসে৷
মানুষ বনাম বানর
‘ওয়ার ফর দ্য প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ১৪ই জুলাই, ২০১৭ তারিখে৷ মানুষ আর বানরদের মধ্যে সেই আদিম সংঘাত, তবে তার পিছনে রয়েছে জিন-প্রযুক্তির কারিকুরি৷ কোণঠাসা মার্কিন কর্নেলের ভূমিকায় বানরদের মুখোমুখি হচ্ছেন অভিনেতা উডি হ্যারেলসন৷
বাস্তবধর্মী, জটিল সব চরিত্র
গোড়া থেকেই ‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিগুলির বিশেষত্ব ছিল কাহিনির বিভিন্ন চরিত্রের গভীরতা ও জটিলতা৷ নতুন বানরগ্রহ ছবিতেও চরিত্র চিত্রায়ণকে অনুরূপ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে: বানর শুধু বানর নয়৷ বিভিন্ন প্রজাতির বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে – ছোট্ট একটি মেয়ে মানুষ আর বানরদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করেছে৷
আবেগ-অনুভূতি বানরদেরও আছে
যুদ্ধের গোলযোগে বানররা একটি বোবা মেয়েকে ধরে প্রথমে তাকে মেরে ফেলার কথাই ভেবেছিল৷ পরে তারা দেখে, এই ছোট্ট মেয়েটিকে মধ্যে এখনও মানুষের কপটতা ও বিশ্বাসঘাতকতার ছোঁয়া লাগেনি৷ কাজেই বানররা মেয়েটিকে তাদের দলের অঙ্গ করে নেয়৷ বোবা মেয়েটির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আমিয়া মিলার৷
অপূর্ব দৃশ্যপট
‘ওয়ার ফর দ্য প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিতে প্রধানত উত্তর আমেরিকার বরফে ঢাকা অরণ্য-প্রান্তরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে – অপূর্ব সব দৃশ্য, অংশত ৬৫ মিলিমিটার ক্যামেরা দিয়ে তোলা, যা একদিকে ব্যাপ্তি, অন্যদিকে খুঁটিনাটি ফুটিয়ে তুলতে পারে৷ ছবির একাংশ আবার থ্রি-ডি বা ত্রিমাত্রিক ক্যামেরা দিয়ে তোলা৷
অ্যাকশানের কমতি নেই
মনুষ্যপ্রকৃতি নিয়ে দার্শনিক চিন্তা ছবির উপজীব্য হলেও, অ্যাকশান ফিল্মের অনুরাগীরা হতাশ হবেন না৷ ছবির চূড়ান্ত সিকোয়েন্সে কর্নেলের দলবল – যাদের মধ্যে বানর ক্রীতদাসেরাও আছে – তারা মুখোমুখি হচ্ছে মুক্তি পাওয়া বানর ক্রীতদাসদের সঙ্গে: এক অ্যাকশান-প্যাকড সংঘাত৷
সে অনেকদিন আগের কথা
১৯৬৮ সালে চিত্রপরিচালক ফ্র্যাংকলিন জে শ্যাফনারের ‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিটি মুক্তি পায় ও সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়৷ যে মানুষটি বানরদের কাছাকাছি আসতে সমর্থ হন, আদত ‘প্ল্যানেট অফ দ্য এপস’ ছবিতে সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ‘বেন হুর’ খ্যাত অভিনেতা চার্লটন হেস্টন (ছবিতে)৷ ছবিটি তৈরি হয়েছিল মাত্র ৬০ লাখ ডলারের বাজেটে৷