1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বল ক্যামেরার কাজ

২৯ মে ২০১৭

আজকাল মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়ও বিস্তৃত প্যানোরামা ছবি তোলা যায়৷ তবে একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ছবি তোলা সহজ নয়৷ তবে একটি ছোট্ট বল যদি এক নিমেষেই সে কাজ করে ফেলে, মন্দ কী!

https://p.dw.com/p/2dj3R
BallCamera
ছবি: Jonas Pfeil

জার্মানির রাজধানী বার্লিনের যে সব চত্বরের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়, আলেক্সান্ডারপ্লাৎস তার মধ্যে অন্যতম৷ তবে এখনো পর্যন্ত কেউ এমন ছবি তোলেনি, যা ছোট্ট এক ক্যামেরা দিয়ে সম্ভব৷ সবুজ বলের মধ্যেই ৩৬টি মোবাইল ক্যামেরা লুকিয়ে রয়েছে৷ শূন্যে ছুড়ে দিলেই সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ৩৬০ ডিগ্রি ছবি তুলে ফেলে

দুই ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার এই বল ক্যামেরার উদ্ভাবক৷ বার্লিনের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে তাঁরা প্রতিদিন এই বিস্ময়কর ক্যামেরা নিয়ে নাড়াচাড়া করেন৷ বলের মধ্যে তাঁরা এমন মাইক্রোচিপ বসিয়েছেন, যার মাধ্যমে সঠিক সময়ে ছবি তোলা হয়৷ তাঁদেরই একজন ইয়োনাস ফাইল৷ তিনি বললেন, ‘‘এই বলের মধ্যে এক অ্যাক্সিলারেটর সেন্সর রয়েছে৷ বল শূন্যে ছোড়ার পর সেটি পরিমাপ শুরু করে৷ সর্বোচ্চ উচ্চতা ছুঁলেই সেন্সর তা বুঝে নিয়ে ক্যামেরার শাটার চালু করে দেয়৷ তবে ৩৬টি মোবাইল ফোন ক্যামেরার একইসঙ্গে ছবি তোলা অত্যন্ত জরুরি৷’’

এখনো দুই ইঞ্জিনিয়ারকে প্রতিবার ছবি তোলার পর সেই ছবি উদ্ধার করতে হয়৷ তবে শীঘ্রই সব তথ্য বলের মধ্যেই ধারণ করা যাবে৷ দুই উদ্ভাবকের অন্যতম বড় রহস্য হলো সেই সফটওয়্যার, যা দিয়ে ৩৬টি ছবির সমন্বয়ে ৩৬০ ডিগ্রি ছবি তৈরি করা হয়৷ সেই ছবি একেবারে বাস্তব অভিজ্ঞতার মতো৷ মনে হবে নিজেই যেন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আছি৷ এমন এক প্যানোরামা ক্যামেরার আইডিয়া যে ছুটি কাটানোর সময়ে মাথায় এসেছিল, তাতে অবাক হবার কিছু নেই৷ ইয়োনাস ফাইল বলেন, ‘‘টোঙ্গা বেড়াতে গিয়ে আইডিয়া মাথায় এসেছিল৷ উচ্চশিক্ষার সময় নিউজিল্যান্ড থেকে সেখানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম৷ প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য ক্যামেরায় ধরে রাখতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু সেটা ঠিক মনের মতো হচ্ছিল না৷ টোঙ্গার পাহাড়ে উঠে মনে হয়েছিল, এমন ডিভাইস চাই যা শূন্যে ছুড়লে একেবারই সব ছবি তোলা যাবে৷’’

BallCamera
বলের ভেতরের অংশছবি: Jonas Pfeil

মাত্র এক বছরের মধ্যেই দু'জন মিলে বল ক্যামেরা তৈরি করেছেন৷ এমন অভিনব আইডিয়ার জন্য তাঁরা বৃত্তিও পেয়েছেন৷ তবে তাঁরা এখনো পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন৷ ক্যামেরাটিকে আরও ছোট করতে হবে, যাতে তা সঙ্গে নিয়ে ঘোরা যায়৷

বার্লিনের মধ্য দিয়ে নৌকাবিহারের সময় দুই উদ্ভাবক মিউজিয়াম ও সরকারি ভবনগুলির এমন ছবি তুলেছেন, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায় নি৷ তাঁদের প্যানোরামা ক্যামেরার জন্য দারুণ মোটিফ বটে৷ তবে ক্যামেরা পানিতে পড়লে কিন্তু চলবে না!

BallCamera
ছবি: Jonas Pfeil

ছবি ভালই তোলা যাচ্ছে৷ দুই ইঞ্জিনিয়ার এবার দ্রুত বড় আকারে উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদী৷ শুধু প্রয়োজন বিনিয়োগকারী৷ তবে এমন ছবি দেখলে টাকার অভাব হবে না বলেই তাঁরা দু'জন মনে করেন৷