বর্ষবরণের রাতে হামলার পরিকল্পনা
২৮ ডিসেম্বর ২০১৬গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র একটি উপদলের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ গত জুলাইয়ে ঢাকায় জঙ্গি হামলার পেছনে এই গোষ্ঠী জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ৷ সেই হামলায় ২২ ব্যক্তি নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিল বিদেশি নাগরিক৷
‘‘বর্ষবরণের রাতে হামলার পরিকল্পনা করছিল তারা'', ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন পুলিশের কাউন্টার-টেরিরোজিম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম৷ তবে জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্য কী ছিল এবং কীভাবে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল সেসম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি ইসলাম৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের সময় ষাট কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে৷ সংবাদ সম্মেলনের সময় গ্রেপ্তারকৃতদের গণমাধ্যমের সামনে আনা হলেও তাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি৷
এদিকে, ঢাকায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ৩১ ডিসেম্বর সূর্যাস্ত থেকে পহেলা জানুয়ারি সূর্যদয় অবধি সকল রকম জন সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ মুসলিমপ্রধান দেশটিতে গত কয়েকবছরে জঙ্গি হামলার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে৷ ইতোমধ্যে বেশি কয়েকজন বিশিষ্ট লেখকসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক সদস্য উগ্রপন্থিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন৷
জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের বশ্যতা স্বীকার করেছে, যেটি ঢাকায় সবচেয়ে প্রাণঘাতি জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে৷ পহেলা জুলাইয়ের সে হামলা গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল৷
হামলার পর পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে ৪০ জনের বেশি সন্দেহভাজন জঙ্গি প্রাণ হারিয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে পুলিশের বিবেচনায় জঙ্গি হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড' বাংলাদেশে জন্ম নেয়া ক্যানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীও রয়েছে৷
এআই/ডিজি (রয়টার্স)