1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বর্জ্য থেকে হোটেল

২৮ জুন ২০১০

পরিকল্পনা আর উদ্ভাবনী মনন থাকলে তুচ্ছ জিনিস থেকেও হতে পারে অনেক কিছু৷ আর এইচএ শুল্টের তো শিল্পীমন৷ শুধু তাই নয়, পৃথিবীর প্রতি ভালোবাসা বুকে ধারণ করে আছেন এই জার্মান৷

https://p.dw.com/p/O4lc
রোমের সেই হোটেলছবি: picture alliance/dpa

তাই সৌন্দর্য বর্ধনে বর্জ্য ব্যবহার করে এ ধরাকে মুক্তি দিতে চাইছেন তিনি৷

আবর্জনা নিয়ে দীর্ঘদিনের কায়কারবার শুল্টের৷ এর সর্বশেষ প্রোজেক্ট হলো হোটেল৷ ইতালির রোমে তিনি যে হোটেলটি বানিয়েছেন, তার তিনটি কক্ষ সাজাতেই ব্যবহার করা হয়েছে ১২ টন বর্জ্য৷ বিয়ারের ক্যান, গাড়ির চাকা, সংবাদপত্র, জুতা-মোজা, ক্যামেরা, ফুটবল- কী নেই এর মধ্যে৷ এসব জোগাড় করা হয়েছিলো ইউরোপের বিভিন্ন সৈকত থেকে৷ এরপর পরিশোধনের জন্য তা পাঠানো হয় জার্মানিতে৷ এরপরই তা ফিরিয়ে নেওয়া হয় রোমে৷ লাগে হোটেলসজ্জায়৷ আর এই ধরনের হোটেল বিশ্বে এটাই প্রথম৷ ভ্যাটিকানের কাছেই নির্মিত হয়েছে হোটেলটি৷

পরিবেশ বাঁচানোর জন্য মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যেই শুল্টের এই প্রয়াস৷ তিনি চান, মানুষ দেখুক, কী পরিমাণ বর্জ্য তারা প্রতিদিন উৎপাদন করে৷ তাঁর ভাষায়, একটা নষ্ট সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা৷ নষ্ট জিনিস উৎপাদন করছি৷ আমাদের পতনের দেরি নাই৷ গত ৫ জুন আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবসে শুল্টের হোটেলের যাত্রা শুরু হয়৷ এর প্রথম অতিথি ছিলেন ডেনমার্কের ফ্যাশন তারকা হেলেনা ক্রিস্টেনসেন৷

আবর্জনা নিয়ে সেই ৬০ এর দশক থেকে শুরু করে বহু কাজ করেছেন শুল্ট৷ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘বর্জ্যমানব'৷ এসব ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে রোম, নিউ ইয়র্ক, মস্কোসহ বিভিন্ন শহরে৷

হোটেলটি বানাতেও বিশ্বের নানা স্থান থেকে বর্জ্য এনেছেন শুল্ট৷ কারণ, বর্জ্যের ভারে ভারাক্রান্ত এখন গোটা পৃথিবী৷ তার প্রতীক হিসেবেই এই পরিকল্পনা৷ শুল্ট বলেন, আসলে আবর্জনাময় একটি বিশ্বেই এখন আমরা বাস করি৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক