বড়দিনে বার্লিনের বাঙালি
২৪ ডিসেম্বর ২০১০
বাংলা প্রবাদে কয়, সঙ্গদোষে লোহা ভাসে৷ কিছু সঙ্গ অবশ্যই শ্লাঘার৷ এবং তা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আনন্দজনক৷ এই পরিমন্ডল পারিপার্শ্বিকের ছোঁয়ায়৷ ধর্ম নয়, সামাজিকতাই পরম৷ যে সমাজে যখন বাস, ওই সমাজের সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিলে অনায়াসেই সামাজিক হওয়া যায়৷ ধর্মের বালাই নেই এখানে৷
বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি (বাংলাদেশ/পশ্চিমবঙ্গেও বাঙালি খ্রিষ্টান আছেন)৷ নিশ্চয় দেশে থাকতে শখ করে বড়দিন তথা ক্রিসমাস উপলক্ষে ক্রিসমাস ট্রি কিনে রঙবেরঙের টুনিবাতি দিয়ে ঘর সাজাতেন না সব সময়৷ কিন্তু বার্লিনে সাজিয়েছেন৷ না সাজিয়ে উপায় নেই, বিশেষত যাদের ছোট ছেলেমেয়ে আছে৷
ছেলেমেয়ে স্কুলে যায়৷ পাশের বাড়ির বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলো করে৷ জানতে চায় ওরা, কে কেমন ঘর সাজিয়েছে, ক্রিসমাস ট্রি কতো বড়ো, আলোকমালার বাহার কী রকম৷ নানা প্রশ্ন৷ শুনতে হয় বাবা-মা-কেও৷ বাচ্চারাও চায় তাদের ঘরদোর সাজানো হোক৷ আলোকিত হোক৷ বন্ধুদের সগর্বে বলতে পারবে৷ বাংলাদেশের মইন চৌধুরীর স্ত্রী জার্মান৷ ক্যাথলিক৷ ওঁদের এক কন্যা৷ বার্লিনবাসী মইন চৌধুরী বলেন, কয়েক বছর ধরেই ঘরদোর সাজাই, বড়দিন উপলক্ষে৷ স্ত্রীর জন্যে নয়, কন্যার জন্যে৷ তবে, এটা এখন আমাদের কাছে সামাজিক কালচার৷ ধর্মীয় নয়৷ একই কথা, জাফর ইকবালের৷ তাঁর গৃহিণী বাঙালি৷ জাফর বলেন, বড়দিনকে আমরা ধর্মীয় দিক থেকে দেখিনা, সামাজিক আনন্দ-উৎসব হিসেবেই আমাদের কাছে গ্রহণীয়৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, বার্লিন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক