1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী গান

২৩ ডিসেম্বর ২০১০

শীতের হিমেল আমেজ নিয়ে আবার ঘনিয়ে এল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন৷ দেশে দেশে খ্রিষ্টানরা ব্যাপক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে এই দিনটি পারিবারিক পরিবেশে৷ গান এই উৎসবেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ৷

https://p.dw.com/p/zogX
আসছে বড় দিন

২৫ শে ডিসেম্বর, খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্টের জন্ম এই দিনটিতে৷ জার্মানিতে বড়দিন পালিত হয় তার আগের সন্ধ্যায় অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর৷ বলা হয় ‘হাইলিগের আবেন্ড' বা পবিত্র সন্ধ্যা৷ ১৮১৮ সালে অস্ট্রিয়ার সালজবুর্গ শহরের অদূরে ছোট্ট এক গ্রামের স্কুল শিক্ষক ফ্রানৎস জাভার গ্রুবার বড়দিন উপলক্ষে রচনা করেন ‘স্টিলে নাখট, হাইলিগে নাখট', নিস্তব্ধ রাত, পবিত্র রাত, গানটি৷  জার্মান ভাষায় রচিত এই গান যুগ যুগ ধরে বিশ্বব্যাপী বড়দিনের একটি অন্যতম জনপ্রিয় সংগীত হিসেবে গীত হয়ে আসছে৷ বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এই গান৷ ইংরেজিতে এই গানই ‘সাইলেন্ট নাইট, হলি নাইট'৷

Deutschland Weihnachten in Hamburg Innenstadt
ক্রিসমাস ট্রি ছাড়া বড়দিন ভাবাই যায় নাছবি: AP

বড়দিনের প্রতীক হিসাবে নানা রঙের কাঁচের বল, ফুল, মোমবাতি, এবং আরো অনেক কিছু দিয়ে সাজানো হয় ফারজাতীয় একটি গাছকে৷  শোভা পায় ঘরের বৈঠকখানায়, বাইরে খোলা জায়গায়, দোকানপাটে এবং গির্জায়৷ যদিও যিশুর জন্মদিনের সাথে এই গাছের কোন সম্পর্ক নেই৷ এ হলো ক্রিসমাস ট্রি৷ জার্মান ভাষায় এই গাছের নাম ‘টানেন বাউম'৷ এনিয়ে জার্মানির একটি ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় গান ‘ও টানেন বাউম'৷

Cover Band Aid Do They Know Its Christmas
বড়দিনকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে অসংখ্য গানছবি: Universal Music

ইংল্যান্ডে বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী গানের মধ্যে ‘উই উইশ ইউ অ্যা মেরি ক্রিসমাস' খুবই জনপ্রিয় গান৷ ষোড়শ শতাব্দীতে রচিত এই গান গেয়েছেন বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী৷ 

বড়দিন উপলক্ষে প্রকৃতি নিয়ে রচিত হয়েছে বহু গান৷এখানে শীতের মৌসুমে তুষারপাত স্বাভাবিক৷ তুষরাবৃত নিসর্গ নিয়ে আসে এক শুভ্র আমেজ৷ বড়দিনে এই শুভ্র আমেজের ছোঁয়া সবসময় অবশ্য পাওয়া যায়না৷ তাই প্রখ্যাত মার্কিন সংগীত শিল্পী বিং ক্রসবি বরফের শুভ্রতায় ঢাকা বড়দিনের স্বপ্ন নিয়ে গেয়েছিলেন চিরায়ত গান ‘আই অ্যাম ড্রিমিং অফ এ ওয়াইট ক্রিস্টমাস...'৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক