1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফ্র্যাকিং’ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই

সঞ্জীব বর্মন২১ জুন ২০১৪

‘ফ্র্যাকিং’ আসলে কী? এই প্রক্রিয়া নিয়ে এত বিতর্কই বা কেন? জ্বালানির চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বে এই প্রক্রিয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্ক বাড়ছে৷ বিভিন্ন দেশের সরকারকে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট অবস্থান নিতে হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1CLyU

খনিজ সম্পদ খনি থেকেই উত্তোলন করা হয় – এমনটাই স্বাভাবিক৷ অর্থাৎ কোনো এক জায়গায় খনিজ সম্পদ পাওয়া গেলে তা উত্তোলন করা হয়৷ অবশ্যই বাণিজ্যিকভাবে তা সফল হতে হবে৷ কিন্তু এমন সম্পদ সামান্য পরিমাণে অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ বিশেষ করে জ্বালানির চাহিদা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তার ফলে এমন বিকল্প ভাণ্ডারেরও খোঁজ চলছে৷ জমি থেকে তেল বা গ্যাস বার করতে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি প্রযুক্তি, যার নাম ‘ইনডিউস্ড হাইড্রলিক ফ্র্যাকচারিং' – যাকে ‘হাইড্রোফ্র্যাকচারিং' বা ছোট করে ‘ফ্র্যাকিং' বলা হয়৷

এই প্রক্রিয়ার আওতায় প্রথমে কূপ খনন করে তাতে প্রবল চাপে এক মিশ্রণ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ তাতে থাকে পানি বা কোনো তরলে মেশানো বালু ও রাসায়নিক পদার্থ৷ এর ফলে পাথরে সামান্য চিড় ধরে৷ তখন গ্যাস বা পেট্রোলিয়াম বেরিয়ে পড়ে৷ তারপর হাইড্রলিক চাপ সরিয়ে দেওয়া হয়৷ ১৯৪৭ সালে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ১৯৪৯ সালে প্রথম সাফল্য পাওয়া যায়৷ ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ বার এমন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে৷ তার মধ্যে প্রায় ১০ লাখ বার শুধু অ্যামেরিকায়ই৷

‘ফ্র্যাকিং'-এর পক্ষে ও বিপক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরা হয়৷ ফ্র্যাকিং-এর প্রবক্তারা মূলত বাণিজ্যিক যুক্তি তুলে ধরেন৷ তাঁদের মতে, এ ভাবে সহজেই তেল ও গ্যাসের মতো হাইড্রোকার্বন ভাণ্ডারের নাগাল পাওয়া যায়৷ তাছাড়া এই প্রক্রিয়ার ক্রমাগত উন্নতির ফলে ঝুঁকিও কমে চলেছে৷ যেমন মার্কিন বহুজাতিক এক্সনমোবিল রাসায়নিক দ্রব্যের সংখ্যা ১৫০ থেকে কমিয়ে ৩০-এ আনতে পেরেছে৷ এমনকি কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়াই ফ্র্যাকিং নিয়ে পরীক্ষা চলছে৷

বিরোধীরা এর বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন৷ যেমন ভূগর্ভস্থ পানির দূষণ হতে পারে, বায়ু ও শব্দ দূষণও ঘটে৷ রাসায়নিক পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠে উঠে আসতে পারে৷ অর্থাৎ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর এর নানা রকম কুপ্রভাব পড়তে পারে৷ অন্যদিকে ভূ-গর্ভে এমন ফাটল ঘটালে বড় রকমের ভূমিকম্পও ঘটতে পারে৷ ফলে অনেক দেশ বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়৷ অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছে৷ এই প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠছে৷

মোটকথা, জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ‘ফ্র্যাকিং' সাময়িক সুবিধা আনলেও এর ঝুঁকি ও কুপ্রভাব কম নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য