1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনা

২২ নভেম্বর ২০১০

ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৫৫৮ সালে৷ বলা হয়, ইয়েনা শহরে কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই কারণ ইয়েনা নিজেই এক বিশ্ববিদ্যালয়৷

https://p.dw.com/p/QF4m
Universität, Jena, ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি, ইয়েনা, Germany, Education, Campus, University
ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনাছবি: FSU/Archiv

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের ইয়েনা শহরটি সত্যিই এক ছাত্র নগর৷ এর মূল কারণ হল ছোট এই শহরে পড়াশোনা করছে প্রায় ২১ হাজার ছাত্র-ছাত্রী৷ ইয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো নাম ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনা৷ ২১ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে প্রায় তেরশ ছাত্র-ছাত্রী বিদেশি৷

ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনা ব্যাচেলর, মাস্টার্স, ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের৷ বছরে দু'বার ভর্তির জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়৷ শীতকালীন সেমেস্টারের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ প্রতিবছর ১৫ই জুলাই এবং গ্রীষ্মকালীন সেমেস্টারে ভর্তির জন্য আবেদন পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১৫ই জানুয়ারি৷

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যেসব কাগজ পত্র জমা দেওয়া প্রয়োজন তা হল:

- ভর্তির পূর্ণ আবেদনপত্র যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাইনলোড করা সম্ভব

- নিজ দেশের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট৷ অবশ্যই তা ইংরেজিতে হতে হবে৷

- এসব প্রতিটি পরীক্ষার মার্কসিট

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জার্মান ভাষা জানা জরুরি৷ একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় একেক ধরণের পরীক্ষার দাবি জানাতে পারে৷ তবে এসব পরীক্ষা সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্যের জন্য গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউট বা মাক্স মুলার ভবনে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন৷ তবে যে পরীক্ষাটির ওপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জোর দেয় তার নাম ডিএসএইচ বা জার্মান ভাষায় ডেএসহা৷ এই পরীক্ষার পরিবর্তে আরো কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি রয়েছে৷ সেগুলো হল:

- সেন্ট্রাল ওবারস্টুফে প্রুফুং

- ক্লাইনেস ডয়েচেস স্প্রাখডিপ্লোম অথবা গ্রোসেস ডয়েচেস স্প্রাখডিপ্লোম

- স্প্রাখডিপ্লোম স্টুফে সোয়াই এবং

- টেস্ট ডাফ

এই পরীক্ষাগুলোর যে কোন একটিতে পাশ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সহজ হবে৷ অর্থাৎ জার্মান ভাষা জানা আছে কিনা এ নিয়ে আর কোন প্রশ্ন বিশ্ববিদ্যালয় করবে না৷ ফ্রিডরিশ শিলার ইউনিভার্সিটি অফ ইয়েনায় ১০টি বিভিন্ন অনুষদ রয়েছে৷ এই অনুষদগুলোর অধীনে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে৷

Flash-Galerie Ostdeutsche Städte Jena
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রথম ইয়োহান ফ্রিডরিশ এর ভাস্কর্যছবি: picture-alliance/ZB

ভারতের ছাত্র আনবু পুশাকানু৷ মাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ ইয়েনায় তিনি পিএইচডি করছেন৷ ইন্সটিটিউটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত৷ তাঁর গবেষণার বিষয় এগ্রিকালচারাল বায়ো টেকনলজি৷ তিনি কেমিক্যাল ইকোলজি নিয়ে গবেষণা করছেন৷ মূলত বিভিন্ন ধরণের গাছ-পালা নিয়েই কাজ করছেন তিনি৷ ইন্সটিটিউটে ৫ জন অধ্যাপক ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কাজ করছেন৷ প্রতিনিয়ত তাদের সাহায্য করছেন৷ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন রিসার্চ গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে৷ আনবুর গ্রুপে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী৷ কেউ পিএইচডি করছেন কেউবা পোস্ট ডক্টরেট৷

আনবু পিএইচডি করার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন ডিএএডি থেকে৷ সে প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘আমি বৃত্তি পেয়েছি ডিএএডি থেকে তিন বছরের জন্য৷ অর্থাৎ তিন বছরের মধ্যে আমাকে আমার গবেষণা শেষ করতে হবে৷ তবে প্রয়োজনে আরো এক বছর সময় আমি বাড়িয়ে নিতে পারবো৷ সে সুযোগ রয়েছে৷ তবে সবকিছুই নির্ভর করছে আমি কত দ্রুত আমার গবেষণার কাজ শেষ করছি তার ওপর৷ এখনই আমি বলতে পারছি না আরো এক বছর আমার লাগবে কিনা৷''

আনবু পিএইচডি কোর্স শুরু করার আগে তিন মাস জার্মান ভাষা শিখেছেন বার্লিনে৷ সেটাও বৃত্তির একটি অংশ৷ প্রতিদিনের কাজে জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি৷ আনবু জানান, কেনাকাটা, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য জর্মান শেখা জরুরি৷

যেসব ছাত্র-ছাত্রী জার্মানিতে পড়াশোনা বা পিএইচডির জন্য আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আনবু বললেন,‘‘ পিএইচডির জন্য আমি প্রথমেই বলবো যে কোন বৃত্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে৷ এছাড়া গবেষণা করছে বা করেছে এরকম অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি৷ আর যদি কোন বই প্রকাশিত হয়ে থাকে সেটাও সাহায্য করবে৷ আর বিষয় অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে হবে৷ আমি সেই অধ্যাপকদের খুঁজেছি যারা কেমিক্যাল ইকোলজি নিয়ে কাজ করছেন৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমি তাদের খুঁজে বের করেছি এবং সরাসরি যোগাযোগ করি৷ এরপর একজন প্রফেসর আমার থিসিস গ্রহণ করেন আমাকে লেটার অফ অ্যাকসেপট্যান্স পাঠান৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক