ফ্রান্সে বোরখা নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে চলছে বিতর্ক
২৮ এপ্রিল ২০১১দিনে-দিনে বাড়ে কালকেতু৷ মিথ্যে নয় প্রবাদ৷ কালকেতুকে একালে হত্যা করা বিস্তর ঝামেলা৷ গণতন্ত্রে, মানবাধিকারে হত্যার বিধান নেই৷ যেমন নেই মানুষের স্বাধীনতায়, ধর্মাচারে হস্তক্ষেপ, নিষেধাজ্ঞা৷
রাষ্ট্রের কর্তা যারা, তথা পরিচালক, সবসময়ই যে সংঘবদ্ধ মানুষের মতামতের ধার ধারেন, তোয়াক্কা করেন, নিশ্চয় না৷ তাঁদের মগজে ক্ষমতা, রাজনীতিই পয়লা৷
বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ, মিছিল, ধিক্কার,অশ্রাব্য সমালোচনা এবং জাতি সংঘকে থোড়াই কেয়ার করে ইরাক-দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বুশ-ব্লেয়ার বাহিনী৷ জার্মানির অধিকাংশ মানুষ পরমাণু চুল্লির বিরুদ্ধে, অথচ, সি ডি ইউ, সি এস ইউ এবং এফ ডি পি ঐক্যজোট সরকার জাবালি মুনি৷ ভীমের চরিত্রে ফরাসি সরকার৷ মুখে যা উচ্চারিত, কর্তব্য পালনে দৃঢ়৷ ভালোমন্দ, দুর্নাম, কুকথা, সমালোচনা পাত্তাই দেয় না৷ যা করবে সবই গণতন্ত্র, মানবাধিকার৷এবং রাজনীতি৷ চাণক্য বলেছেন, সময়ই রাজনীতি৷ সময়ই রাজন্য দেশাচার৷
গণতন্ত্র,ব্যক্তিস্বাধীনতা,মানবাধিকার বিপ্লবে ফরাসিদেশ নমস্য৷ এই দেশে যখন মুসলিম নারীর বোরখা-পরা নিষিদ্ধ হয়, সোরগোল স্বাভাবিক৷
কেন নিষিদ্ধকরণ, যাচাই করতে প্যারিসে হাজির৷ নানা মানুষের নানা কথা৷ কথামালায় মানুষ বিভক্ত৷ কেউ বলেন, রাজনীতিই মুখ্য৷ কেউ বলেন, মুসলিম বিদ্বেষও কাজ করছে৷ কেউ বলেন, কালকেতুরা মাথা চাড়া দিয়েছে, সময়মতো বিনাশ করেনি৷ মাশুল দিতে হচ্ছে৷ দিতে হবে ভবিষত্যে আরো৷ শুরু এখন৷ ফ্রান্সের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকারের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে টানাপোড়েন৷
এই টানাপোড়েনের রাজনীতি বহুমাত্রিক৷ মাত্রিকতার কথক ফরাসিরাই৷
প্রতিবেদন: দাউদ হায়দার, প্যারিস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক