ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিদের কথা
রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ নিজের স্কুল শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন তিনি৷ নির্বাচনে জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল ব্রিজিট মাক্রোঁর৷
শিক্ষক থেকে ফার্স্ট লেডি
ফ্রান্সের নতুন ফার্স্ট লেডি হচ্ছেন ব্রিজিট মাক্রোঁ৷ তাঁর স্বামী এমানুয়েল মাক্রোঁ ছিলেন তাঁর ছাত্র৷ স্বামীর চেয়ে ২৪ বছরের বড় ব্রিজিটের এমানুয়েলের নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন৷ মাক্রোঁর বক্তব্য দেখে দেয়া, স্টেজে উঠে কীভাবে কী করতে হবে সেই পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি নানান কাজ করেছেন ব্রিজিট৷ ফার্স্ট লেডি হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷
ট্রিয়াভিলেয়া থেকে গাইয়ে
২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সেটি তাঁর সেই সময়কার পার্টনার ভ্যালেরি ট্রিয়াভিলেয়াকে (বামে) নিয়ে উদযাপন করেছিলেন ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷ এরপর ২০১৪ সালে অভিনেত্রী জুলি গাইয়ের সঙ্গে ওলঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশিত হয়৷ তার আগ পর্যন্ত সাংবাদিক ও টক শো উপস্থাপিকা হিসেবে ব্যস্ত থাকলেও ফার্স্ট লেডি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রিয়াভিলেয়া৷
মডেল, গায়ক থেকে ফার্স্ট লেডি
২০০৮ সালে ফ্রান্সের তখনকার প্রেসিজেন্ট নিকোলা সার্কোজিকে বিয়ে করেন একসময়কার শীর্ষ মডেল ব্রুনি৷ পরবর্তীতে তিনি সংগীতের দিকে মন দিয়েছিলেন৷ ২০০২ সালে তাঁর একটি অ্যালবামও বের হয়েছিল৷ প্রেসিডেন্টকে বিয়ে করলেও রাজনৈতিক দায়িত্ব কমই পালন করেছেন তিনি৷ ৪৯ বছর বয়সে আজও স্টাইল আইকন হিসেবে পরিচিত ব্রুনি৷
ব্যার্নাডেত শিরাক
১৯৯৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ফার্স্ট লেডি ছিলেন তিনি৷ স্বামী জ্যাক শিরাকের সাফল্যের পেছনে তাঁরও অবদান ছিল৷ কারণ তিনি নিজেও রাজনীতিক ছিলেন৷ সত্তরের দশকে তাঁর এলাকায় কাউন্সিলেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি৷ কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি৷
ডানিয়েল মিতেরঁ
ফ্রান্সের প্রথম সোশ্যালিস্ট ফার্স্ট লেডি ছিলেন তিনি (ডানে)৷ একবার তিনি বলেছিলেন, ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডির কোনো আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেই৷ তাই বিভিন্ন সময়ে তাঁকে বামপন্থি গোষ্ঠীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে৷ যেমন ছবিতে মেক্সিকোর ‘জাপাটিস্টাস’-দের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাচ্ছে৷ এছাড়া কুর্দি ও তিব্বতিদের পক্ষও নিয়েছিলেন তিনি৷
ক্লোদ পপিদুঁ
রাজনৈতিক জীবনের চাপ তাঁর পছন্দ ছিল না৷ তাই ১৯৬৯ থেকে ৭৪ পর্যন্ত ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালন করা পপিদুঁ (সাদা পোশাক) দাতব্য কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন৷ পঙ্গু শিশু, হাসপাতালের রোগী ও বয়স্ক মানুষদের দেখভালের কাজ করত তাঁর ফাউন্ডেশন৷
ইভন দু গল
প্রচন্ড ক্যাথলিক ঘরানার দু গল পতিতাবৃত্তি, তালাক, মিনিস্কার্ট – এ সবের বিপক্ষে ছিলেন৷ তাঁর প্রেসিডেন্ট স্বামী ফ্রান্সে এ সবের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলেও আশা করেছিলেন তিনি৷ তাঁর এমন মনোভাবের জন্য তিনি ‘ইভন খালা’ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন৷ তবে ১৯৬২ সালে তাঁকে ও তাঁর প্রেসিডেন্ট স্বামীকে হত্যা করতে যে হামলা হয়েছিল সেই সময় মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন৷