1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সকে বায়ার্নের দৃষ্টান্ত

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করতে হলে ফ্রান্সের এখন সব চাপ ভুলে বায়ার্নের মতো সাহসী হওয়া উচিত, বলেছেন ইউরোপের ‘ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার' ফ্রঁঙ্ক রিবেরি৷

https://p.dw.com/p/19cRS
ARCHIV - Franck Ribery winkt am 23.07.2013 während der Team-Präsentation in die Allianz Arena in München (Bayern). Franck Ribéry ist Europas Fußballer des Jahres 2013. Foto: Andreas Gebert/dpa (zu dpa "Ribéry zu Europas Fußballer des Jahres gewählt" vom 29.08.2013) +++(c) dpa - Bildfunk+++
Franck Riberyছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করতে হলে ফ্রান্সের এখন সব চাপ ভুলে বায়ার্নের মতো সাহসী হওয়া উচিত, বলেছেন ইউরোপের ‘ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার' ফ্রঁঙ্ক রিবেরি৷

ফুটবল সম্রাট জিনেদিন জিদানের স্বর্ণযুগ কবে শেষ হয়েছে৷ ফ্রান্সের আজ দৈন্যদশা, যদিও বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং-এর গ্রুপ ‘আই'-তে তারা স্পেনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে এবং মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে৷ শুক্রবার জর্জিয়ার বিরুদ্ধে ও তার চারদিন পরে বেলারুসের বিরুদ্ধে খেলায় ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবেই, বলেছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ৷ অন্তত সেটাই হলো লক্ষ্য৷

জিদান যুগের সেই মহিমার কথা দেশেঁর ভালোভাবে মনে থাকার কথা৷ কাজেই আজ যখন তিনি দেখেন, ‘লে ব্লোয়' বা ‘নীলেরা' তাদের বিগত চারটি খেলার একটিতেও গোল করতে পারেনি; করিম বেনজেমার মতো ফরোয়ার্ড বিগত এক বছরে একবারও গোল করেনি; গত মাসে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলিতে গোললেস ড্র করেই ফ্রান্স উচ্ছ্বসিত – তখন দেশেঁর চোখে জল আসারই কথা৷

Bayern Munich's French midfielder Franck Ribery celebrates with the trophy after the UEFA Super Cup football match FC Bayern Munich vs Chelsea FC on August 30, 2013 at the Eden Stadium, in Prague. AFP PHOTO / MICHAL CIZEK (Photo credit should read MICHAL CIZEK/AFP/Getty Images)
বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করতে হলে ফ্রান্সের এখন বায়ার্নের মতো সাহসী হওয়া উচিত, বলেন রিবেরিছবি: Michal Cizek/AFP/Getty Images

আজ ফ্রান্সের কাডারে জিনেদিন জিদান কি থিয়েরি অঁরির মতো প্লেয়ার নেই৷ এক দশক আগে যে ফ্রান্স বিশ্ব ব়্যাংকিং-এ ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল, সেই ফ্রান্সের অবস্থান আজ ২৩তম স্থানে, পেরু আর ঘানার মধ্যে৷ তাদের বিগত তিনটি টুর্নামেন্টে ফ্রান্স মাত্র একবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছতে পেরেছে৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ফরাসি প্লেয়ারদের কোচের বিরুদ্ধে ধর্মঘটটাই ছিল বড় খবর৷

২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ফ্রান্স রানার্স-আপ হয়: সেই দলের এক উঠতি তারকা ছিলেন ফ্রঁঙ্ক রিবেরি৷ সেই রিবেরি এবার ক্লেয়ারফন্তেইনে ফরাসি দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুলেছেন৷ রিবেরির বক্তব্য, ফরাসি দলে তাঁর সতীর্থদের সমস্যা হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব৷ সেক্ষেত্রে বায়ার্নের স্বতঃস্ফূর্ত ও সোজাসুজি খেলার ধরন তাদের পক্ষে প্রেরণা হতে পারে৷

‘‘বায়ার্নে আমার সম্পূর্ণ অন্য অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ বায়ার্নে আমরা কখনো নিজেদের নিয়ে প্রশ্ন তুলি না৷ ফ্রান্সে একজন প্লেয়ার (গোল) মিস করলেই, সে আত্মবিশ্বাস হারায়, সমালোচনার ভয় পায়৷ কিন্তু আমরা সকলকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সাহায্য করব, তাদের ওপর চাপ কমাব৷'' বেলজিয়ামের সঙ্গে ফ্রেন্ডলিতেও রিবেরি দেখেছেন, এই চাপ কিভাবে প্লেয়ারদের খেলার ধরন বদলে দেয়৷

‘‘আমাকে কখনো-সখনো প্লেয়ারদের বলতে হয়েছে, তিন মিটারের পাস না দিয়ে, দশ কি পনেরো মিটারের পাস দাও – (বিপক্ষের) প্রতিরক্ষা ভেদ করার জন্য, আমাদের নিজেদের খেলায় গতি আনার জন্য৷ (ফরাসি দলে) আমরা অনেক কিছু করি না, অনেক কিছু করতে সাহস পাই না – যেমন লম্বা পাস দেওয়া, বায়ার্নে যেটা স্বাভাবিক৷''

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য