1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেলানীর হত্যাকারী ‘নির্দোষ’

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন বিএসএফের গুলিতে মারা যান ২০১১ সালে৷ সেই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার রায় শুনে বিস্মিত অনেকে৷ অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে ‘নির্দোষ’ বলেছে ভারতের আদালত৷

https://p.dw.com/p/19d7r
Indian Border Security Force soldiers patrol in the early morning fog along barbwire fence along the India Bangladesh border in Jaipur village near Agartala, capital of India?s northeastern state Tripura, Monday, Dec. 4, 2006. Security along the border has been intensified following Political instability and continuing violence in Bangladesh. India shares over 4,000 kilometers (2500 miles) border with Bangladesh. (AP Photo/Ramakanta Dey)
ছবি: AP

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেলানী হত্যা নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ এ সংক্রান্ত মামলার বিচার কিছুদিন আগে শুরু হয় বিএসএফ-এর বিশেষ আদালতে৷ শুক্রবার আদালতের রায় প্রকাশের পর আমার ব্লগে লিপি হালদার লিখেছেন, ‘‘ফেলানী হত্যার অভিযুক্তদের মুক্তি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাই৷''

এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘ভারতের আদালত ফেলানীর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত বিএসএফ-এর সেই সদস্যকে (অমীয় ঘোষ) বেকসুর খালাস দিয়েছেন৷ আমি এই রায় মানিনা৷ এবং আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সুবিচার নিশ্চিত করবেন৷''

বিএসএফ এর রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে অনেক প্রশ্ন রেখেছেন রিংকু সি. বিশ্বাস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিএসএফ বলে বেকসুর খালাস?? তাহলে ফেলানীকে মারলো কে? প্রিয় ভারত৷ আমাদের পা-চাটা, তোষণ করার রাজনীতি'র জন্যে, এনাদের এই অবস্থা!!''

আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আসিফুজ্জামান পৃথিল লিখেছেন, ‘‘কী দরকার ছিল আমাদের অপমান করার, কিইবা দরকার ছিল ফেলানী হত্যার বিচার করার৷ ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিলো ট্রাইব্যুনাল৷ দরকার তো ছিল না বিচারের নামে এ প্রহসনের...৷'' #ফেলানী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে এসব মন্তব্য করা হয়েছে৷

এছাড়া সাংবাদিক আশরাফ হোসেনের ফেসবুক মন্তব্য হচ্ছে, ‘‘নোবডি কিল্ড ফেলানী!'' আব্দুল্লাহ আল-শাফি নামক আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী এ সংক্রান্ত এক সংবাদ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘আহারে বেচারী.... ফেলানী কি আসলেই মারা গেছে?''

ব্লগার আরিফ জেবতিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি কভার ফটো যোগ করেছেন৷ এতে লেখা রয়েছে, ‘‘একদিন এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলব / পেটের দায়ে আমার বোন দেশান্তরী হবে না... / বিএসএফ এর গুলিতে ঝাঁজরা আমার বোন ঝুলে থাকবে না / কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেদিন আমরা তোদেরকেই আটকে দেব...৷''

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘২০১১ সালের ০৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান৷ দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর৷ এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য