1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেডারার ইথিওপিয়ার শিশুদের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেললেন

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

রজার ফেডারার শুধু যে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় তা-ই নয়, তিনি আফ্রিকার দরিদ্র শিশুদের একজন শুভাকাঙ্খীও বটে৷

https://p.dw.com/p/M0ZP
ছবি: AP

এই শিশুদের পড়াশোনার জন্য তাঁর নামে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর এক মিলিয়ন ডলার খরচ করে থাকে৷

আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাঞ্জানিয়া, মালি, মালাউয়ি ও জিম্বাবোয়ের বিভিন্ন স্কুলে দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনার জন্য রজার ফেডারার ফাউন্ডেশন এই অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে৷

ইথিওপিয়ার এমনি একটি স্কুলে সম্প্রতি ফেডারার বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে তিনি শিশুদের সঙ্গে টেবল টেনিস খেলে ও গল্প করে সময় কাটান৷

এসময় একটি ছোট্ট মেয়ে ফেডারারের কাছে জানতে চান তাঁর বয়স কত৷ তখন ফেডারার তাকে অনুমান করতে বললে ছোট্ট মেয়েটি বলে ওঠে, সাদা মানুষদের সম্বন্ধে তার তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও, তার মনে হয় ফেডারারের বয়স হবে ৪৫৷ এতে টেনিস সম্রাট মুচকি হেসে বলেন যে তাঁর বয়স ২৮৷

দেশটিতে প্রথমবার সফরে গিয়ে ফেডারার সেখানে তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে আশ্চর্য হন৷ কারণ তাঁর ধারণা ছিলো দূরপাল্লার দৌড়ের দেশটিতে হয়তো তাঁকে কেউ চিনতে পারবে না৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফেডারার বলেন, যখন তিনি স্কুলে প্রবেশ করছিলেন সবাই তখন গান গেয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়৷ প্রথমে বুঝতে না পারলেও বাচ্চাদের গান শুনে তার চোখে পানি চলে এসেছিল বলে জানান তিনি৷ পরে ফেডারার জানতে পারেন যে শিশুরা "রজার আমাদের পিতা" বলে গান গাইছিল৷

Flash-Galerie Roger Federer gewinnt Australian Open
ছবি: AP

ফেডারার বলেন, তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মায়ের অনুপ্রেরণাতেই তিনি তাঁর ফাউন্ডেশনটি গড়ে তুলেছেন৷ তিনি বলেন, ছোটবেলায় তিনি অনেকবার দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছেন বেড়াতে৷ তাই শুরুতে দক্ষি‌ণ আফ্রিকার কয়েকটি স্কুলে ফাউন্ডেশনের কাজ শুরু করলেও পরবর্তিতে যখন বেশি অর্থ উপার্জন শুরু করলেন, তখন আরো কয়েকটি দেশে ফাউন্ডেশনের কাজ সম্প্রসারণ করেন৷

প্রতিবেদনঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ অরুন শঙ্কর চৌধুরী