ফুটবল মানেই যে নাটক!
১৯ মে ২০১৪শুধু ফুটবলকে দোষারোপ কেন! সব খেলাতেই তো অসৎ কাজ হয়৷ সাইক্লিস্ট আর অ্যাথলিটরা দিব্যি ডোপিং করে ক্ষমতা বাড়িয়ে নেন৷ কথায় বলে ‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা'৷ ডোপিং বড় ঝকমারির কাজ৷ তার থেকে অনেক সহজ উপায় রয়েছে৷ অন্তত ফুটবল মাঠে সেই কায়দা রপ্ত করেছেন অনেক খেলোয়াড়৷ তাদের অভিনয় ক্ষমতার একটা তালিকা তৈরি করেছে সংবাদ সংস্থা এপি৷
প্রথমেই ডাইভিং৷ দর্শক হিসেবে মনে হতেই পারে যে মাঠের পেনাল্টি এলাকা বোধহয় বেশ পিচ্ছিল৷ কারণ সেখানেই খেলোয়াড়রা ধপাধপ পড়ে যান৷ ডিফেন্ডারের শরীরের সঙ্গে সামান্য ছোঁয়া লাগলে অথবা কাছাকাছি এলেও অনেকে দিব্যি পড়ে যান৷ আবার ডিফেন্ডার সত্যি ধাক্কা মেরেও দুই হাত তুলে রেফারির দিকে নিষ্পাপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলার চেষ্টা করেন, ‘‘কই আমি তো কিছু করি নি!''
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আহত হবার ভান করা৷ অভিনয়ের এই রূপ মাঠে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়৷ অন্যের সহানুভূতি আদায় করা এবং নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে দিতে এটাই সবচেয়ে ভালো কায়দা৷ ম্যাচ থামিয়ে সময় নষ্ট করতে এবং প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে হলুদ অথবা লাল কার্ড দেখানোর বন্দোবস্ত করা যায় ভালো অভিনয়ের মাধ্যমে৷
এছাড়াও আছে অন্য কিছু পন্থা৷ যেমন ‘থ্রো ইন চিটিং'৷ বল সাইডলাইন পেরিয়ে গেলে থ্রো করতে গিয়েও খেলোয়াড়রা নানান কসরত করে সবার মনোযোগ অন্যদিকে টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন৷ আছে ‘আওয়ার বল' দাবিও৷ বল যখন গোল লাইন বা সাইড লাইন পেরিয়ে যায়, তখন দুই দলের খেলোয়াড়রাই হাত তুলে বলের উপর নিজেদের দাবি জানায়৷ কে আসলে বল ছুঁয়েছিল, তা আর স্পষ্ট থাকে না৷ তারপর রয়েছে খেলার সময় নষ্ট করার ‘ডিলে' কৌশল৷ জয়ের কাছাকাছি চলে এলে এবং খেলা শেষ হতে কয়েক মিনিট বাকি থাকলে নানা অজুহাতে সেই দলের খেলোয়াড়রা সময় নষ্ট করেন৷
সবার শেষে রয়েছে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' কৌশল৷ অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে যা সঠিক, প্রতিপক্ষের ক্ষেত্রে তা বিপরীত৷ কোনো খেলোয়াড় নিজে কোনো চালাকি করে ভালোমানুষ সাজার চেষ্টা করেন৷ কয়েক মিনিট পর প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় সেই একই কাজ করলে তীব্র প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন৷
অতএব ফুটবলকে আর শুধু ফুটবল হিসেবে দেখলে চলবে না৷ আসন্ন বিশ্বকাপ দেখার সময় খেয়াল রাখবেন, এ সব আপনারও চোখে পড়ছে কিনা৷
এসবি/ডিজি (এপি, এএফপি)